কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী হাজিরপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে এক মাদ্রাসা ছাত্রী।
ওই ছাত্রী গতকাল শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃত কিশোরী তাবাস্সুম জান্নাত রেখামনি(১৪) ওই এলাকার আয়ুব আলীর কন্যা।
পরে ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে ঘটনার পরদিন শনিবার ভোর রাতেই তিনি কীটনাশক পান করে নিজ বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন।
পরে সকালে পেকুয়া থানার এসআই নাজমুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীর ইউনিয়নের পাশের ইউনিয়ন বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার মকছুদ আহমদের ছেলে কাসেমের সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই ছাত্রীর।
শুক্রবার রাতে ছাত্রীর মা-বা পাশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রীকে তার প্রেমিক কাসেমসহ স্থানীয় আরও দুই বখাটে যুবক কৌশলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি মাছের প্রজেক্টের বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে ওই প্রেমিক কাসেমসহ ওই দুই বখাটে যুবক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে ওই বখাটে যুবকদের ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে রাতেই ছেড়ে দেয় এবং ওই ছাত্রীকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, রাতে ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের সদস্যরা বকাঝকাসহ মারধর করেন। পরে শনিবার ভোরে ওই ছাত্রী অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক কাসেম ও তার দুই সহযোগী বখাটে আলমগীর ও রবিউল আলম পলাতক রয়েছে।
পেকুয়া থানার এসআই নাজমুল জানান, প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে সকালে ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি নিজেই মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা আইয়ুব আলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ওসি আরও জানান, হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় আসলে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ