প্রশাসনের নাকের ঢগায় নির্লজ্জভাবে জমি দখল হলেও যেন কেউ দেখেও দেখছেনা। এতে ভূমিদস্যুর কাছ থেকে থেকে রেহাই চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভোক্তভোগীর পরিবার।
জানা যায়, স্থানীয় সিকান্দার আলী পিতা মৃত নাজির আলী গং পুটিভিলা মৌজাধীন আর এস ২৫০ নং খতিয়ানের আর এস ৪৬/৬৫/৬৭/৬৮/৭০/৭৬/৭৭/৭৮/৭৯/৮৬/৯৮/১০০/১০৪/১০৭/৯৬/৫৬২/১১১/১১৭/১৩০১৩২/১৩৩/১৪২/১৫৫/ দাগের আন্দর ৭.৪২ একর জমির প্রকৃত মালিক হই। দীর্গদিন যাবত এই জমির মালিকেরা পৈতৃক সূত্রে বসবাস করে আসলেও গত কয়েকবছর আগে একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট পুটিভিলা বাইন্যার দোকান এলাকায় অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে রেখেছে। গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় সেলিম উল্লাহ,লোকমান,শাহ আলম,আমান উল্লাহ,আবু তাহের,নুরুল ইসলাম,আনোয়ার হোসেন,আবদুল মতলব বদি আলম সওদাগর, সুলতান রমিজ এর নেতৃত্বে জোরপূর্বক দখল করে।
উক্ত জমির বিষয়ে কক্সবাজার বিজ্ঞ জেলা যুগ্নজজ(১ম) আদালতে অপর ৮৩/২০১৪ ইং নং মামলা চলমান রয়েছে। আদালতে মামলা থাকা সত্বেও কোনো আইন তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন স্থানীয় লোক দোকানঘর নির্মাণ করতে দেখা যায়। একজন দখলকারী নুরুল ইসলাম জানান, উক্ত জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়ে যে যার মত আমরা দোকানঘর নির্মাণ করতেছি। এই বিষয়ে মহেশখালী পৌরসভা মেয়র মকসুদ মিয়ার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত জায়গা গুলোর বিরুদ্ধে নালিশী মামলা রয়েছে।কে বা কারা দখল করতেছে আমি জানিনা তবে জমি মালিকের কোনো অভিযোগ থাকলে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ও আমরা আইনি সহযোগীতা করব।
স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক জানান,এখানে বেশকিছু জমির মালিক আমরা,তবে শুনেছি নাজির আলী গং এর কিছু জমি ও এখানে রয়েছে। ইতিপূর্বে ঐ জমির মালিকগণ আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল। আমি বসে মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম।এরপরও তারা ওই জমির সঠিক কাগজপত্র নিয়ে বসতে চাইলে আমরা বসতে রাজি আছি।
এই বিষয়ে ভোক্তভোগী সেকান্দর আলী বলেন, ৭.৪২ একর জমির আমরা প্রকৃত মালিক। ওই জমি উদ্ধারে শতাধিক আসামী করে একটি মামলা চলমান রয়েছে কক্সবাজার বিচারীক আদালতে। এরপরেও একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট আমাদের জমি দখল করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছি।
0 মন্তব্যসমূহ