সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৪ জনের দন্ড


মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুরঃ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক সম্রাট মোন্নাফ আলী সরকার ও তার পুত্র মাহমুদ হাসান রকিসহ ৬ জনকে আটক করেছে নীলফামারী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ বোতলাগাড়ী গ্রামে মোন্নাফ আলীর বাড়িতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় ওই বাড়ি থেকে ১৪ বোতল ফেনসিডিল ও ৩২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে অভিযানিক দল।

অভিযানে মোন্নাফ আলী সরকার (৫৮), তার পুত্র মাহমুদ হাসান রকি(২৭) ছাড়াও আটক হওয়া অন্যরা   হলো একই গ্রামের ফজলুর ছেলে সেলিম ওরফে রতন (২৫), টগরুপাড়ার সোহাগ ইসলাম (২১), ছাইয়াপাড়ার গোলাম রাব্বানী (২০) ও বুচারীপাড়া গ্রামের হাগুড়ার ছেলে মান্নান (১৯)। তারা  মোন্নাফ আলীর ছেলে রকির  মাদক বিক্রয়ের সহযোগী।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক খবির আহমেদ। এসময় দপ্তরের অন্যান্য সদস্য ছাড়াও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রমিজ আলম। পরে সেখানে আটক মোন্নাফ আলী সরকার ও তার পুত্র মাহমুদ হাসান রকি বাদে ৪ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উল্লিখিত ৪ জনকে  ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শ’ টাকা করা হয়। এ দন্ড ঘোষনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রমিজ আলম। এদিকে আটককৃত মোন্নাফ আলী সরকার ও তার ছেলে মাহমুদ হাসান রকি’র বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মামলা দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক খবির আহমেদ জানান, মোন্নাফ আলী সরকার উত্তরাঞ্চলের  মাদক সম্রাট। সে দীর্ঘদিন থেকে সে সৈয়দপুরসহ আশেপাশের জেলা উপজেলায় ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট টাপেন্ডাডল সরবরাহ করতো এবং মাদকের পাইকারী বিক্রেতা। ওই মাদক ব্যবসায়ী এরআগে মাদকসহ একাধিকবার  আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে হাজত খেটেছে। তিনি জামিনে বেরিয়ে এসেই পুনরায় তার ব্যবসা পরিচালনা করে।

অভিযোগ রয়েছে তার মাদক ব্যবসা দেখাশুনা করে থাকেন স্ত্রী,পুত্র মাহমুদ হাসান রকি ও দুই জামাতা। তিনি জানান, অভিযান চলাকালে আটককৃতদের নিয়ে আসার সময় রকির সহযোগীরা বাঁধার সৃষ্টি করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রমিজ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ আটককৃতদের থানায় আনে। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান বলেন, আটককৃতদের নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ