জাহাঙ্গীর রেজা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডিমলায় অসাধু উপায়ে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে শিশু খাদ্য আইসক্রিম যেন দেখার কেউ নাই। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা হাকিমের মোরের পশ্চিম দিকে খোকশার ঘাট ব্রিজ সংলগ্ন শাহ্ আলমের আইসক্রিম তৈরির কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, শিশু খাদ্য আইসক্রিম বানানোর কারবার।
আইসক্রিম তৈরির শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বলেন, দুধ, চিনি, নারিকেল ও পানি দিয়ে বানানো হচ্ছে এসব আইসক্রিম। কিন্তু সচিত্রে দেখা মিলে ভিন্ন চিত্র, এসব আইসক্রিম দুধের বদলে দিচ্ছে বাউডার দুধ, চিনির পরিবর্তে ঘণ চিনি অর্থাৎ সেকারিন, নারিকেলর পরিবর্তে সাদা ভূষি শুধু তাই নয় সাদা করতে দিচ্ছে ময়দা আর বিস্কিটের গুড়ো ও বিভিন্ন ধরনের রঙের কেমিক্যাল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ সারোয়ার আলম এর কাছে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে শিশু খাদ্য আইসক্রিম তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সম্পর্ন অবৈধ এ ধরনের নোংরা পরিবেশে তৈরী অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম যদি শিশুরা খায় তাহলে শিশুদের পেটের সমস্যা ও কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পরে এমনকি শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকিও আছে।
এবিষয়ে মুঠো ফোনে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ওয়াহেদুর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা এসব আইসক্রিম তৈরির কারখানা চালাচ্ছে তারা খুবই চালাক, কারণ তারা সন্ধ্যার পর রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অসাধু উপায়ে কাজগুলো করে। তিনি আরও বলেন, যারা এ ধরনের ভেজাল খাদ্য ও আইসক্রিম তৈরি করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় এনে জেল জরিমানা করা হবে।
এলাকার সাধারণ জনগণ এসব অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম তৈরির কারখানা গুলো বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ