সাইফুল ইসলাম মানিক নিলফামারীঃ
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আগামী জুনে আধাপাকা ঘর পাচ্ছেন আরো সাড়ে ৫৩ হাজার ৫০০ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। তারই অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগে ১২ হাজার ৩৯১টি ঘরের মধ্যে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় তিনশত ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসানের নিবির পর্যবেক্ষনে তৈরী হচ্ছে এই ঘরগুলো ঘর নির্মাণের সামগ্রী যেমন ইট, বালু, সিমেন্ট, রড, টিন, কাঠসহ যাবতীয় ব্যপারে রয়েছে কঠোর নজরদারি দুই শতক জায়গায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও ঘর নির্মাণে মাটির মান অনুযায়ী প্রয়োজনে বরাদ্দের চেয়ে বেশী ব্যয় করেও টেকসই মজবুত ও শতভাগ গুণগত মান দিয়েছে ঘরগুলিতে।
এছাড়াও পরিকল্পনায় রয়েছে আবাসন এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার, মসজিদ, কবরস্থান, পুকুর খনন ও বৃক্ষরোপন। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচি পৃথিবীতে বিরল মডেল। অসহায় মানুষের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া এ কর্মসূচির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আবেগ মিশে আছে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিনিয়ত এর খোঁজ খবর রাখেন।
(সোমবার, ৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে আগামী জুন মাসের শুরু থেকে দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত বাড়িগুলো বিতরণ শুরু করার পরিকল্পনা হয়।আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী জুন মাসে নতুন এসব বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। এর আগে প্রথম ধাপে গত জানুয়ারি মাসে বাড়ি পেয়েছে প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন এবং ভূমিহীন পরিবার।আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে বাড়ি নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন। বৈঠকে সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-কমিশনার (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। বৈঠকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কোনো রকম ব্যত্যয় ছাড়া গুণগত মান ঠিক রাখার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী বছর সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ১ লাখ ২৫ হাজার বাড়ি বিতরণ করবে। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের বাড়িগুলো নির্মাণের পাশাপাশি আগামী বছর যে ১ লাখ ২৫ হাজার বাড়ি দেবে সরকার তা নির্মাণে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।
বাড়ির গুণগত মান নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, গুণগত মানের বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। যদি কোন ব্যত্যয় পাওয়া যায় আমরা জিরো টলারেন্স দেখাবো। সভায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপকারভোগীদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে বলেন মূখ্য সচিব। কাজে কোনো অসঙ্গতি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টদের সর্তক করেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ৫৩ হাজার ৪৩৪টি বাড়ি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারগুলোকে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭ হাজার ২৮০টি বাড়ি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ হাজার ৫১২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ হাজার ৫৬২টি, রংপুর বিভাগে ১২ হাজার ৩৯১টি, রাজশাহীতে ৭ হাজার ১৭২টি, খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৯১১টি, বরিশাল বিভাগে ৭ হাজার ৬২৭টি এবং সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৯৭৯টি বাড়ি দেওয়া হবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের।
0 মন্তব্যসমূহ