সাইফুল ইসলাম মানিক নিলফামারীঃ
জানা যায় জেলার জলঢাকা উপজেলার ০৬ নং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের রাজবাড়ী গ্রামের অমূল্য চন্দ্র রায়ের ১ম পুত্র খিতেন ।২০১৮ সালে রাজবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। পড়ে রংপুর ডক্টর্স ক্লিনিকে মেরুদণ্ড অপারেশন করলেও মিলেনী স্বাভাবিক জীবন।
সেই থেকেই হয়ে যায় পঙ্গু। নিজের কেনা হুইল চেয়ারে যেন তার জীবনের বেচে থাকার ঘরবাড়ী। অপারেশন করার পড়ে শরীরের নিচের অর্ধেক অংশ হয়ে যায় অবস। তাই চলাফেরা তো দুরের কথা বসে থাকতে গেলেও লাগে ওষুধ। ওই পরিবারে যেন মরার উপরে ঘারা নিজের চিকিৎসা চালাতে হিমসিম তার উপরে আবার ৯ বছরের সন্তানের কিডনী জটিলতা পিতা পুত্রের ২০১৮ থেকে ২০২১ তিন বছরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা বর্তমানে ডক্টর্স ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডাক্তার এর পরামর্শে পিতা পুত্র মিলে প্রতি মাসে ওষুধ কিনতে লাগে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা এই টাকা জোগাড় করতে, করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে পরিবার।
খিতেন পিতার প্রথম ছেলে হলেও দ্বিতীয় ছেলে থাকে ভারতে বাবা মায়ের বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই তাই স্ত্রী সন্তান সহ ৭ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিল খিতেন । ছেলে পঙ্গু হওয়ায় শেষ বয়সে দিশেহারা হয়ে পরেছে বৃদ্ধা মা বাবা । খিতেনের বড় ছেলে ও মে শিমুলবাড়ী এস, সি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনী এবং ছোট ছেলে কিডনী রোগী রাজবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে । তাই ক্ষিতেন দেশের নাগরিক হিসেবে সরকারী চিকিৎসা সেবায় বেচে থাকার আকুতি জানায়।
এবিষয়ে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলা অফিসারকে অবগত করলে জলঢাকা উপজেলা সমাজসেবায় চিকিৎসার আবেদন দেয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে ক্ষিতেনের পরিবারের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান।
0 মন্তব্যসমূহ