মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুরঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে তৃতীয় দফায় আরও ২৬ জন কৃষি শ্রমিককে ধান কাটার জন্য বগুড়ার জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে একটি মিনিবাসে তাদের সেখানে পাঠানো হয়। এর আগে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মোখছেদুল মোমিনের পক্ষ থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়া ২৬ জন কৃষি শ্রমিককে চিড়া,গুড়,বিস্কুটসহ শুকনা খাবার ও সাবান দেয়া হয়।
এছাড়া সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে মাস্ক প্রদান করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ ওইসব শ্রমিকদের হাতে মাস্ক, শুকনা খাদ্য ও সাবান তুলে দেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহিনা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মমতা সাহাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র জানায় , দেশের বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহীসহ অন্যান্য জেলায় ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে।
আর প্রতি বছরই উত্তরের জেলা নীলফামারীসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলা থেকে কৃষি শ্রমিকরা দক্ষিণের ওইসব জেলায় এলাকার কৃষকরা ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াই করে থাকেন। কিন্তু এবারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন চলছে। এতে সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে আবাদকৃত ইরি-বোরো পাকা ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণের কৃষকরা। এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও কৃষি শ্রমিকদের দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার জন্য জরুরীভিত্তিতে প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা- উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ গত ১৮ এপ্রিল থেকে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য প্রথম দিন ১৮ এপ্রিল নাটোরের সিংড়ায় ১৪ জন, ১৯ এপ্রিল নাটোরের সিংড়ায় ১৫ জন ও নওগাঁর আত্রাইয়ে ১৫ জন এবং আজ মঙ্গলবার বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২৬ জন কৃষি শ্রমিক পাঠনো হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শাহিনা বেগম জানান, কৃষি শ্রমিকরা যাতে সহজে ওইসব জেলায় ধান কাটার কাজ করতে পারেন সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যায়ণপত্র প্রদান করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ