মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুরঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা ফাউন্ডেশনের বীরাঙ্গনা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় সৈয়দপুরে বীরাঙ্গনাদের মাঝে চাল ও নগদ অর্থ বিতরণ ক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল কাছারিপাড়ায় বীরাঙ্গনা বেগম আরাকে সরকারীভাবে দেয়া বীরনিবাস চত্বরে ওই চাল ও অর্থ বিতরণ করা হয়।
অপারেজয় বাংলা ফাউন্ডেশনের নীলফামারী জেলা সমন্বয়কারী এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ডোমার উপজেলা শাখার সভাপতি লেখক ও গবেষক মো. আল-আমিন রহমান বীরাঙ্গনাদের হাতে চাল ও নগদ টাকা তুলে দেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.ইউনুছ আলী, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন লুতু ও সাংবাদিক মো. সাখাওয়াত হোসেন সৈকতসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কামারপুকুর ইউনিয়নের ১২ জন বীরাঙ্গনার মাঝে ১০ কেজি চাল ও নগদ পাঁচ শত টাকা করে বিতরণ করা হয়। ফাউন্ডেশনের নীলফামারী জেলা সমন্বয়কারী মো. আল-আমিন রহমান জানান, সংগঠনটির উদ্যোগে বীরাঙ্গনা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গত শীতে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলার বীরাঙ্গনাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। আজ শুক্রবার সৈয়দপুরে ১২ জন বীরাঙ্গনার মধ্যে চাল ও নগদ টাকা বিতরণের মধ্যদিয়ে নীলফামারী জেলার ৩৬ জন বীরঙ্গনার মাঝে চাল ও নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম শেষ হলো।
অনুষ্ঠানে কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল হিন্দুপাড়ার বীরাঙ্গনা কিরণ বালা শীল আক্ষেপ করে বলেন, ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার মতো দুই লাখ মা-বোন তাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছেন। অথচ স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তীতে বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। দেয়া হয়নি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি। আজ আমরা বীরাঙ্গনারা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম অবহেলিত ও উপেক্ষিত। সমাজের সবাই আমাদের বাঁকা চোখে দেখেন। আমরা সরকারি কোন রকম সাহায্য সহায়তা পাই না। তিনি অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় বীরাঙ্গনাদেরও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবি জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ