আল-আমিন, নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই মুশরুত পানিয়াল পুকুর বেলতলীর ঘাট চাড়ালকাটা নদীর উপর নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সেতুর সংযোগ সড়কের বাম তীর ধ্বসে গিয়ে ভয়াবহ ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে। ভাঙ্গনের কবলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা এলজিইডি সুত্র জানায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৯ কোটি ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৪০ টাকা ব্যয়ে ১৪০ মিটার সেতু নির্মান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও ওই সেতুটির সংযোগ সড়কের ধ্বসে যাওয়ার বাঁধ অদ্যাবধি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, গত বছর বর্ষা মৌসুমে প্রবল বন্যার ঘুর্ণায়মান তীব্র ¯্রােতের তোড়ে সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিম বাম তীর পিলারের গোড়া থেকে সংযোগ সড়কের বাঁধ রক্ষা ব্লক ও মাটি নদী গর্ভে ধ্বসে গিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ভারি যানবাহন চলাচল করায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নিতাই ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে গত বছর চাড়াল কাটা নদী পুর্ণ খনন করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের ফলে সরাসরি নদীর ঘূর্ণায়নমান স্রোত সেতুর মূল ফটকে আঘাত হানায় সেতুসহ সংযোগ সড়কের ২০/৩০মিটার বাঁধ নদীতে ধ্বসে গিয়ে হুমকির মূখে পড়েছে। তিনি আরও জানান, সড়কটি ভাঙ্গন রোধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে সেতুটি অচিরেই নদীতে ভেঙ্গে পড়বে। সেতুটি ভেঙ্গে গেলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়াসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উপজেলার সাথে নিতাই ইউপি’র কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আানোয়র হোসেন, রেদোওয়ান, শহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক জানান, গত বছর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিলে উপজেলা এলজিইডি,সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে জিওব্যাগ,রশি ধরে টানা টানি করে কিছুটা ভাঙ্গন রোধ করলেও পরবর্তীতে মেরামতে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্ষার আগে সেতুটির সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য সরকারের কাছে আমরা জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে নীলফামারীু এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর বলেন, আমার নলেজে আছে, শুনেছি, তবে রাস্তা ভেঙ্গে গেলে কেনো ব্রীজ ভেঙ্গে যাবে বিষয়টি তদন্ত করে পয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ