মো. কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড়ঃ
মো. আব্দুল লতিফ তারিন। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি। পঞ্চগড়-১আসন(আটোয়ারী-সদর তেতুঁলিয়া) এর বাসিন্দা। বাড়ি তেতুঁলিয়ায়।একজনগুণিজন, সমাজ সেবক, সমাজ বান্ধব।যিনি কৃষি আর কৃষকের কথা ভাবেন। ভাবেন পঞ্চগড়ের কৃষি নির্ভরশীল মানুষের কথা। ভাবেন চা শিল্পের কথা তথা চা চাষির কথা। রাজনীতি তার একটি বড় আদর্শ । আর্দশ নিয়ে তার পথচলা।
সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট’র বিভীষিকাময় প্রেক্ষাপটের পরেও চ্যাল্জ্ঞে নিয়ে তেতুঁলিয়ার রাজনীতিতে আকড়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তার উপড় স্থানিয় স্বাধীনতা বিরোধী মোল্লাদের কাছে থেকেও তিনি দল পরিবর্তন বা কারো চাপে দল ছুট হননি। এখন ও তিনি আওয়ামীলীগে আছেন। আছেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি। বর্তমানে জেলার পাঁচটি কৃষকলীগের সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। তৃণমূলে তার অবদান যথেষ্ট।মো. আব্দুল লতিফ তারিন একজন সার্বজনীন নেতা। সাবেক স্বরাস্ট মন্ত্রী মরহুম নাসিম সাহেব তার মামাতো ভাই।ছাত্রজীবন তিনি তেতুঁলিয়াতে কাটিয়েছেন।
৭৫’র পরবর্তী বিভীষিকাময় পরিস্থিতির পরেও তিনি তেতুঁলিয়ার ছাত্রলীগকে পূর্নগঠন করেন। তখন তিনি সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ৮২ সাল পর্যন্ত তিনি তেতুঁলিয়ার ছাত্রলীগে ছিলেন। এরপর তিনি লেখাপড়ার সুবাদে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।তিনি সেই কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ওই কলেজ থেকে অর্নাস কমপ্লিট করেন। তারপর ৯২’তে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য পদ পান। জন নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য তিনি কৃষক লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
এরপর ৯৭ তে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের একক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০০৩/৪ সালের দিকে তিনি কেন্দ্রীয় লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক র্নিবাচিত হন।তারপর এক পর্যায়ে ২০০৬ এ কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি হন। পরে ২০২০ এ আবারো তিনি সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। মো. আব্দুল লতিফ তারিন বলেন ‘ ৭৫’র ১৫ আগষ্ট দুঃসময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলাম। অনেকে স্বাধীনতা বিরোধী মোল্লাদের চাপে দল ত্যাগ করেন। আমি ছিলাম এখনো আছি। তিনি মনে করেন ‘ পঞ্চগড়ের রাজনীতিকে যদি সংগঠিত করা না হয় ‘ ভবিষ্যতে পঞ্চগড়- ১ আসন বিপক্ষ দলে চলে যাবে। তিনি অবশ্য বলেন ‘ আমি সকলকে নিয়ে কাজ করে যেতে চাই ‘ দলকে সুসংগঠিত করতে চাই’। দলকে সংগঠিত করতে না পারলে পঞ্চগড়-১ আসন ধরে রাখা খুবই কঠিন। যদি দল তাকে নমিনেশন দেন ‘ তাহলে আমি এমপি নির্বাচন করবো। আর অন্যকে দিলে তিনি সেই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবনে।
তিনি কৃষি পণ্যের উৎপাদন বিষয়ে বলেন ‘ চা পাতার ন্যায্যমূল্য পায় সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন ‘ এক সময় এই অঞ্চলের মানুষকে মফিজ বলা হতো। সেই অপবাদ ঘুচিয়ে গত ১২ বছরে বিরাট পরিবর্তন করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুগার মিল বিষয়ে তিনি বলেন ‘ মানুষকে ভুল বুঝানো হচ্ছে ‘ মিল বন্ধের পক্ষে নই‘ লাভ না হলেও লোকসান সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।আরেকটা বিষয় মানুষ এখন আখ আবাদ করেনা।তিনি কৃষি পন্য প্রক্রিয়াজাত করণের দাবি করেন।
এদিকে রেলমন্ত্রী মহোদয় দাবির পরে কৃষকের উৎ’পাদিত পণ্যপরিবহণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাকেজ ভ্যান দিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাবান্দা স্থল বনদর খুলে দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
0 মন্তব্যসমূহ