পঞ্চগড়ে খারিজ নিয়ে তুঘলঘি কান্ড দুর্নীতি আর অনিয়মে ভরপুর


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
 

খারিজের হার্ট কপি নিয়েই দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা ভূমি অফিস পাড়ায় এমন কর্মকান্ড থামছে না। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের এক বাসিন্দার খারিজ নিয়ে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা ভূমি অফিসে এধরনের তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। এমন সংবাদ মিডিয়ায় আসার পর পরই মুখ খুললেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুই কর্মচারী। 

স্থানীয় ভাবে জানা যায় ‘উপজেলার জনৈক বাসিন্দা হামিদুল গত দুই মাস আগে একটি খারিজ করার আবেদন করেন। খারিজ পেতে কালক্ষেপন করতে থাকলে ওই ভূমি মালিক নিজেই সরাসরি দেবীগঞ্জ উজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে যোগাযোগ করেন। এরপর ওই ভূমি অফিসে কর্মরত নাজির কাম ক্যাশিয়ার সুমন আলী ‘ সেই ভ’মি মালিকের নিকট নগদ ৬ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে সেই খারিজ টি করে দেন।

এ বিষয়ে সংবাদ অনুসন্ধানে দন্ডপাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করলে  ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহলিদার) ইউসুফ আলী জানান  আমি ওই হামিদুলের খারিজে কোন টাকা নেই নি। হামিদুলের খারিজ আবেদনে ভুলবশতঃ ৪ শতক জমি কম হলে সে পূনরায় আবেদন করেন। সেই আবেদনের পর আমি সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে  নিয়ম মাফিক ভাবে উপজেলা সহকারী কমিশনা(ভূমি) বরাবরে স্বচ্ছ রিপোর্ট দাখিল করি সরকারী খাতে সেই খারিজে আমি দাখিলা  ডি. সি.আর. বাবদ ১৪০ টাকা নেই। ওই হামিদুলের নিকট অফিস সহায়ক (এমএলএস) জাকির ২৫০০ টাকা নেয়। আমি এ জন্য দায়ী নই। শুনেছি হামিদুলের নিকট ৬০০০ হাজার টাকা নিয়ে   নাজির সুমন তার অফিস থেকেই খারিজটি করে দেন।

পরে অফিস সহায়ক জাকির বলেন হামিদুল আমার আত্নীয় হবে সেই সূত্রে আমি  খারিজ ও অফিস খরচ বাবদ ২৫০০ টাকা নেই । সেই টাকা দেবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সায়রাত সহকারী আব্দুর রশিদকে দেই । আমি এক টাকাও নেই নি।  পরে শুনলাম সুমন নাজির খারিজ করে দেন। উল্লেখ্য  কয়েকদিন আগে দন্ডপাল ইউনিয়ণ ভূমি অফিসের একটি দুর্নীতির সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার পর দেবীগঞ্জউপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে কর্মরত নাজির ও সায়রাত সহকারীর বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে সায়রাত সহকারী আব্দুর রশিদ সাথে ওই খারিজের বিষয়ে সরাসরি কথা বললে তিনি  বলেন  আমার খেয়াল নাই। আর টাকার সঙ্গে আমার সর্ম্পক নাই আমি স্যারের কাছে যাবো । আপনারা কি লিখবেন লেখেন। এ সময় তিনি তার অফিস সহায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন  এই ওনাদের চা খাওয়াও ‘ লাল চা’। প্রসঙ্গতঃ আব্দুল রশিদ ইতোপূর্বে পঞ্চগড় সদরে চাকুরী করেছেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে জমি-জমার কাজে ভূমি মালিকদের নিকট বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেন । পরে তিনি দেবীগঞ্জ বদলী হলে  ওই সব ভূমি মালিকরা টাকার জন্য অফিসে ঘোরাফেরা করতো বলে জানান সংশ্লিষ্ট অফিসের অনেক কর্মচারী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে  তিনি বলে বেড়ান সাংবাদিকদের আমি হিসাব করিনা । এদিকে নাজির সুমন আলীর সাথে দেখা হলে  তিনি কোন রকম কথা না বলেই সটকে পড়েন। 

পরে মুঠো ফেনে কখা বললে তিনি বলেন আমি তো খারিজের দায়িত্বে নাই । আপনি কাজের বন্টন দেখেন। আমি, এখন ব্যস্ত।এদিকে দন্ডপাল ইউনিয়নের বাসিন্দারা অনেকেই ভূমি অফিসের কর্মকান্ডে নানা ভাবে অতিষ্ট। অনেকে অভিযোগ করে বলেন  এসব আমরা জানি আপনারা এখন দেখনে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ