শত কোটি টাকার রাস্তা ‘ অথচ ব্রীজটির ভগ্ন দশা পুঠিমারি মিশন বোদা রাস্তা


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রাস্তা করে দিলেও একটি ব্রীজের অভাবে জন দূর্ভোগের সীমা নেই। বর্ষা মৌসুমে ওই রাস্তায় চলাচল করা দুসাধ্য হয়ে পড়ে। বর্তমান ভেঙ্গে যাওয়া অংশে বাশেঁর খটখটি দেওয়া আছে। উপড় দিয়ে ভ্যান রিকসা মোটর সাইকেল চলাচল করলেও নীচ অংশ দিয়ে ভারি যানচলাচল করছে । এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

এলজিইডি পঞ্চগড় সূত্রে জানা যায় ‘এই ব্রীজটি বহু পুরনো। ওপেন ফাউন্ডেশন (ওএফসি) ব্রীজ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বেংহাড়ি ইউনিয়নের পুঠিমারি মিশন রাস্তায় অবস্থিত।বিগত ২০১৫-২০১৬ সালে বোদা উপজেলার সাকোয়া- আলিম বাজার হয়ে পুঠিমারি এবং পুঠিমারি হয়ে  উপজেলার ময়দানদিঘী বাজার পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হয়। যার চওড়া ১২ ফিট। জিওবি’র অর্থায়নে রাস্তাটি নির্মিত হয়। 

ফলে ওই এলাকার মানুষের জীবন-যাত্রার মান বৃদ্ধি পায়। অথচ অপরিকল্পিত ওপেন ফাউন্ডেশনে নির্মিত ব্রীজটির ভগ্ন দশায় ‘সেই জীবনযাত্রার মান কিছুটা হলে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে রেখেছে। স্থানীয় জন সাধারনের মতে‘ ব্রীজটি বহু পুরনো। না হলেও ৩০/৪০ বছর আগে এটি নির্মিত হয়েছে। বেংহাড়ি ইউনিয়নের জন সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মো. সাহেব আলী জানান ‘  একপাশে বার বার ভেঙ্গে যাওয়ায় আমি চারবার নিজ উদ্যোগে মানুষ চলাচলে প্রায় ৪২ হাজার টাকা ব্যয় করে কোনো ভাবে চলাচলের জন্য উপযোগি করে রেখেছি’। 

জানা যায় ‘এই রাস্তাটি বোদা উপজেলার উলিপুখুরী হয়ে করতোয়া নদীর বাগডোগরা ঘাটে গিয়ে ঠেকেছে। এছাড়া অপরদিকে পুৃঠিমারি হয়ে ময়দানদীঘি বাজারে গিয়ে ঠেকেছে। বলাবাহুল্য পুঠিমারি সহ অত্র এলাকার বিপুল আবদি জমিতে ‘ ধান,গম, আলু, মরিচ,পেয়াঁজ সহ সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। কৃষি এলাকা হিসেবে পরিচিত গোটা কালিয়াগঞ্জ ও বেংহাড়ি ইউনিয়নের মানুষ ব্রীজটির জন্য বড় অসহায় হয়ে পড়েছে। পুঠিমারি মিশন হয়ে কালিয়াগঞ্জ ও দেবীগঞ্জের যোগাযোগ রয়েছে। সাথে যোগাযোগ রয়েছে ‘ পঞ্চগড় জেলা সদরের। ব্রীজটির নীচ দিয়ে বয়ে যাওয়া নয়নজলিটি বর্ষায় চাপ পড়ে ‘ ধসে যায়। এলাকার বড় একটি পানির স্তুর এই ব্রীজটির নীচ দিয়ে বয়ে যায়। অপরিকল্পিত ভাবে এটি নির্মাণ করায় দক্ষিণ অংশের মাটি সরে গিয়ে বড় গর্তের র্ফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে। এখন বাঁেশর নরবড়ে খটখটি দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে। যা বড় বিপদের কারণ।

এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের এলজিউডি’র নির্বাহী  প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান বলেন‘ আমি ওই জায়গাটিতে দু’বার পরিদর্শন করেছি। বহু দিন আগে ওপেন ফাউন্ডেশন করে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। সামনের এ্যাপোচ টি ভেঙ্গে গেছে এখন ঠিক করে লাভ হবেনা। আমরা ইতিমধ্যে এর জন্য কাগজপত্র উপড়ে পাঠিয়েছি। আশা করা যায় এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন পাবো। এর পর সেটি অপসারণ করে টেন্ডার করার পর নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ