মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে সৈয়দপুর রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগ ওই অভিযান পরিচালনা করে। আজ রবিবার (২১ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সকালে শহরের কাজিপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে দখলকৃত রেলওয়ের কয়েকটি জলাশয় ও কৃষি জমি উদ্ধার করে স্পট নিলামের মাধ্যমে বৈধভাবে লীজ প্রদান করা হয়।
এতে প্রায় ১৯ একর ৬ শতক জমি (জলাশয় ও কৃষিজমি) দখলমুক্ত করা হয়। একই এলাকায় রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা গরুর খামার ও ইট দিয়ে ঘিরে রাখা জমি উদ্ধার করে অভিযান পরিচালনা কারী দলটি। দুপুরে শহরের কলাহাটি রোডের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দুইটি দোকান ও একটি বাড়ি নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব অবৈধভাবে দখলদারদের কাছ থেকে জরিমানা এবং নতুন করে লীজ দেয়ার মাধ্যমে প্রায় ৩৪ লাখ ৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
এদিকে শহরের নয়াবাজার ভাগার এলাকায় রেলওয়ের বিশাল জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা সৈয়দপুর পৌরসভা ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার যৌথ প্রকল্প কো-কোম্পোষ্ট প্লান্ট বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে এর বৈধ বরাদ্দ বা লীজ গ্রহণের পরই কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসময় এখানে কর্মরত সমাজ কল্যাণ সংস্থা (এসকেএস) এর দুইজন সাব-ইঞ্জিনিয়ারকে আটক করা হয়। পরে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ তাদের জিম্মায় নিয়ে অবিলম্বে রেলওয়ের কাছ থেকে বৈধ উপায়ে লীজ গ্রহণ করতে সম্মত হওয়ায় তাদের ১ ঘন্টার কারাদন্ড শেষে মুক্ত করা হয়।
বিকালে শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোডে নিয়ম বহির্ভূত নির্মানাধীন ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের মালামাল জব্দ করে তা নিলামের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকায় বিক্রয় করা হয়।রাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান বলেন, সরকারি নির্দেশনায় দেশের যেখানে যত প্রকার রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখলে আছে তা দখলমুক্ত করে রাজস্ব আয় বাড়ানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সৈয়দপুরে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই যে কোন ধরণের এবং যে কোন ব্যক্তির দখলকৃত রেলওয়ের জমি উদ্ধার করাসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করাসহ বৈধভাবে বরাদ্দ দেয়া হবে।
অভিযান চলাকালে এসময় তার সাথে ছিলেন পার্বতীপুর রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কানুনগো মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, সৈয়দপুরস্থ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (ইনচার্জ) মো. আহসান উদ্দিন, উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) মো. শরিফুল ইসলাম, সৈয়দপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চীফ ইন্সপেক্টর মো. বেনজুর রহমানসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
0 মন্তব্যসমূহ