সোহাগ কিবরিয়া, দিনাজপুর ফুলবাড়ীঃ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকরা চার দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোমবার (৮মার্চ) সকাল ১১টায় ফলবাড়ী প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড়পুকুুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি শ্রমিকদের চার দফা দাবি তুলে ধরেন ও তাদের উপর খনি কর্তৃপক্ষের চালানো বিভিন্ন নির্যাতনের বর্ননা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি আমাদের মায়ের মত। মা যেমন তার সন্তানকে দুধ পান করিয়ে বাঁচিয়ে রাখে কয়লাখনিও আমাদের কয়লা দিয়ে অন্ন যোগায়। কিন্তু পেট্রোবাংলার কিছু কর্মকর্তার কারনে আজ জাতীয় সম্পদ কয়লার উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। কয়লা উত্তোলন এভাবে বন্ধ থাকলে পার্শ্ববর্তী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও জ্বালানীর অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই জাতীয় সম্পদ কয়লার উৎপাদন ঠিক রাখতে শ্রমিকদের উত্থাপিত চার দফা দাবি মেনে নিন।
এসময় তিনি চার দফা দাবি উল্লেখ করেন। দাবি গুলো হল- ১. বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সকল শ্রমিককে করোনার ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদান করাতে হবে এবং খনির প্রধান গেট উন্মুক্ত রাখতে হবে।২. সকল শ্রমিককে প্রফিট বোনাস সহ বকেয়া বেতন ভাতা ও উৎসব ভাতা দিতে হবে। ৩. খনিতে নিয়েজিত সকল নেতাকর্মী ও শ্রমিকদের নামে করা হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মমলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৪. বিবিধ।
এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে নুর ইসলাম আরও বলেন, আমাদের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন পরিবার পরিজন, স্ত্রী সন্তানের মায়া মমতা ত্যাগ করে খনিতে অমানবিক ভাবে বন্দি থেকেও জাতীয় স্বার্থে কয়লা উৎপাদনে নিয়োজিত ছিল। কিন্তু উপরোক্ত চার দফা মেনে না নেয়ায় এবং জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট সকলের বৈঠকেও কোন সমাধান না হওয়ায় বন্দি শ্রমিকরা গতকাল (রবিবার) রাতে পুলিশের উপস্থিতিতেই খনি থেকে বেড়িয়ে আসে। পুলিশ শ্রমিকদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকবৃন্দ এবং ফুলবাড়ী ও দিনাজপুরের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
0 মন্তব্যসমূহ