রতন কুমার রায়-স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকৃতির নিয়মেই ফুল ফুটতে শুরু করেছে চাষীর মাঠে সূর্যমূখী ফুল। সৌন্ধর্য্যরে কারনে বাড়ীর আঙ্গিনায় দু’একটি নয়, বানিজ্যিকভাবে মাঠে চাষাবাদের জন্য নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় চাষীরা শুরু করেছে সূর্যমূখী চাষাবাদ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কৃষি পূর্নবাসনের আওতায় চাষীদের এই উদ্দ্যেগ। এ অঞ্চলের মাটির গুনাগুন, আবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমূখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় ইহার চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় ও আগ্রহী করে তুলছে। চাষের মাঠে সবল সতেজ গাছ ও ভালো ফুল আসায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষী।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ভোজ্যতেলের মধ্যে সূর্যমুখীর তেল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সূর্যমুখীর তেল শরীরের কোলেস্টরাল ঠিক রাখে। এক কথায় সূর্যমূখীর তেল মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। এবারে উপজেলায় প্রদর্শনীসহ ৩’শ বিঘা(একশত একর) জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখীর ফুল ফুটতে শুরু করেছে। ফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে আসছে দর্শনার্থীরাও। সূর্যমূখীর চাষের মাঠের চারদিকে অপরুপ দৃশ্য। ফুলে ফুলে ভোঁ ভোঁ করছে মৌমাছি। সূর্যমূখী সূর্যের দিকে কিরন নিতে চাহিয়ে রয়েছে তাহার পানে।
বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক রাম বাবু বলেন, সূর্যমূখী একটি লাভজনক ফসল। অন্যান্য ফসলের চেয়ে চাষাবাদে সময় খরচ দুটোই কম লাগে। জমিতে স্বল্প চাষে সূর্যমুখী চাষ করা যায়। রোপন থেকে কর্তন পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। সূর্যমুখীর গাছ রান্নার জ্বালানি হিসেবে আমরা ব্যবহার করি। পৌরসভার চিকনমাটি গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, সূর্যমুখীর জমিতে সর্বাধিক দুইবার সেচ ও অল্প কিছু রাসায়নিক সার দিলেই হয়।একটু পরিচর্যা করলে বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮মন ফলন পাওয়া সম্ভব। কৃষকের সূর্যমূখী চাষের মাঠে দেখা হয় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব রহমানের সাথে, তিনি বলেন সূর্যমুখী বীজ রোপনের ৫৫দিন হতে ৬০দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু করে। ফুল ঝড়ে ফসল সংগ্রহ করতে ১১০দিন সময় লাগে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরে কৃষি পূর্নবাসনের আওতায় ২’শ জন কৃষককে সরকারী বরাদ্দে ১কেজি সূর্যমূখী বীজ দেয়া হয়েছে। কম খরচে বেশী লাভের সুযোগ থাকায় অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। একটু পরিচর্যা নিলে প্রতি বিঘায় ১০মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।
0 মন্তব্যসমূহ