হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাটঃ
এক সময়ের উত্তাল তিস্তা এখন শান্ত মরুভূমি।তিস্তার ধু ধু বালুচরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় বাড়ছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের শিংগীমারী, মিয়াজীপাড়ার চর, মাস্টারপাড়ার চর, মীরপাড়ার চর, চর চিলাখাল, চর মটুকপুর, চর বিনবিনা ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলি, চর ছালাপাক ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেত জুড়ে সবুজ গাছের ফাঁকে ফাঁকে সোনালী মিষ্টি কুমড়ার সমারোহ। বাম্পার ফলন হওয়ায় কুমড়া চাষিদের মুখে তৃপ্তির হাসি।
কৃষকরা জানান, তিস্তা চরের বালুকাময় জমি অনাবাদি ভেবে দীর্ঘদিন ধরে জমিগুলো পতিত অবস্থায় রেখেছিল তারা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বাড়ায় গত কয়েক বছর থেকে এসব চরে বিভিন্ন ফসল আবাদ করছেন তারা। কৃষকরা আরো জানান, বালুময় জমিতে দোঁআশ মাটি ছড়িয়ে দিয়ে গর্ত তৈরি করে সেখানে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। প্রতিটি খড়া তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৫০ টাকা করে। এভাবেই অনাবাদি জমিকে আবাদি জমি তৈরি করে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়েছে। জমিতে বীজ বপনের ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই কুমড়া বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান চাষিরা। এখন কুমড়া বড় হচ্ছে। তাই ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
মহিপুরের শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু সংলগ্ন চরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলে খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে এক বিঘা জমির উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে টাকা পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর গঙ্গাচড়ায় ২শত হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, কুমড়া চাষে কৃষককে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ