নিখোঁজের ৩৬ দিন পর পঞ্চগড়ে পুকুর থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
 

পঞ্চগড়ে নিখোঁজের ৩৬ দিন পর তরিকুল ইসলাম ওরফে ছুটু বাউ (৫৮) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ। শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার পঞ্চগড় পৌরসভার রৌশনাবাগ এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যাক্তির বাসার পূর্ব  পাশে অবস্থিত গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যাক্তির পুকুরের পশ্চিম ধাঁরে উপর হয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থায় ছিল লাশটি। পরে পুলিশ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। 

তরিকুল ইসলাম ওরফে ছুটু পঞ্চগড় পৌরসভার পূর্ব ইসলামবাগ এলাকার মৃত আমির উদ্দীনের ছেলে। তিনি আগে পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে বর্তমানে বাসায় তিনি অবসর সময় কাটাতেন ।পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, তরিকুল ইসলাম ওরফে ছুটু বাউ গত ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১টা হতে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ হন। 

পরে কয়েকদিন ধরে তিনি বাসায় না ফেরায় গত ২ জানুয়ারী পরিবারের সদস্যরা পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এর পরেও দীর্ঘ দিনেও তার সন্ধান মেলেনি। এদিকে শনিবার সকাল ১১টায় স্থানীয় মহিলারা ওই পুকুরের পাশে গাছের পাতা কুঁড়াতে এসে এক ব্যাক্তির লাশ পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে আনোয়ার হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তিকে জানালে তিনি সদর থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরৎহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তার পুলিশ লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। 

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) সুর্দশন কুমার রায়, পঞ্চগড় সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আক্কাস আহমেদ,পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের ছেলে তহিদুল ইসলাম তুহিন জানান, গত ৩১শে ডিসেম্বর রাত ১টা হতে বাবা বাসায় না ফেরায় ২ জানুয়ারী পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। তারপরেও বাবা বাসায় ফেরেনি। দোষীদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। যাতে দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মদ জানান,খবর পাওয়া মাত্রই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। প্রথমে পরিচয়হীনভাবে লাশটি পাওয়া গেলেও পরে স্থানীয়রা ধারণা করেন লাশটি তরিকুল ইসলাম ওরফে ছুটু বাউয়ের হতে পারে। পরে ওই পরিবারে খবর দিলে নিহতের ছেলে তহিদুল ইসলাম তুহিন ও তার বোন এসে লাশটি সনাক্ত করে। তবে লাশের গায়ে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ