মোঃ তোফাজ্জল হোসেন,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার বিশেষ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহার সুত্র মতে, সোমবার রাত ১২টায় বীরগঞ্জ থানার এসআই মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই মোহাম্মদ আলী, এএসআই দীনেশ চন্দ্র বর্মণ, কনেস্টবল মোঃ সোলেমান, রফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন, মামুনুর রশিদ, মোশারাফ হোসেন সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চাপাপাড়া গ্রামের জনৈক ।
মোঃ আসলামের গোডাউনের উওরে রাজ্জাক এর আম বাগানের ভিতরে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দলের ডাকাতি প্রস্তুতি কালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রধানাবাদ ঢাকাইয়াপাড়ার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে নুর আলম (৪৯), চান মিয়ার ছেলে গোলাম রব্বানী (৩৬), কাহারোল উপজেলার পূর্ব সাথীপুর গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে আব্দুল রশিদ(৩২), পাবর্তীপুর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মৃত জয়েফ উদ্দিনের ছেলে হজরত আলী(৫২), কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার হাড়ীডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোনভুলা চন্দ্র দাসের ছেলে মোহন কুমার চন্দ্র দাস (৪০)কে আটক করা হয় ।
দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রধানাবাদ ঢাকাইয়াপাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে ইমরুল হাসান (৩৫), শতগ্রাম ইউনিয়নের জামতলী এলাকার সোহাগ ইসলাম(২৮) সহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এসময় আটককৃত ব্যাক্তিদের কাছে একটি লোহার তৈরী চাপাতি, নগদ ৫ হাজার ২০০ টাকা, হাসুয়া, চাকু, লাইলন রশি ও ৪ জোড়া পুরাতন স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।
এসআই মমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার কবিরাজহাটে হাইওয়ে ডিউটিরত অবস্থাকালীন পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চাপাপাড়া গ্রামের জনৈক মোঃ আসলাম এর গোডাউনের উওরে রাজ্জাক এর আম বাগানের ভিতরে ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য সমবেত হয়েছে গোপন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন প্রধান কে অবগত করে ও তার নির্দেশক্রমে থানা থেকে অতিরিক্ত অফিসার ও ফোর্স নিয়ে উক্ত স্থানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা কালে অপরাধীদের আটক করে বীরগঞ্জ থানার মামলা নং- ২৪,তাং-২২/০২/২০২১ ইং দায়ের করে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন প্রধান জানান,অত্র থানার অন্তর্গত ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, জুয়া সহ সকল প্রকার অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা অবনতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান চলছে এবং এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে বীরগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রায় ৩০ কিঃ মিঃ দূরে ঘটনা স্থলে গিয়ে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান , উল্লেখিত এলাকা উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ার সুবাদে এখানে প্রায়শই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, জুয়া, মাদক ব্যবসা সহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়। থানা দূরবর্তী হওয়ায় কিছু কিছু অভিযোগ হয়ে আইনী সহায়তা পেলেও অযথা হয়রানী মনে করে অধিকাংশরাই অভিযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে থানা পুলিশের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পলাশবাড়ী এলাকার স্থানীয় সচেতন অভিভাবক মহল।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি বীরগঞ্জ থানার এসআই আবু হাসনাত জামান রংপুর বিভাগীয় ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে ক্রেস্ট পায় এবং দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী হিসেবে বীরগঞ্জ থানার এএসআই মোহাম্মদ আলী সম্মাননা পদক পাওয়া সহ ওসি আব্দুল মতিন প্রধানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের তৎপরতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের কাছে একান্ত আস্থাভাজনের স্থান হয়েছে বীরগঞ্জ থানা।
0 মন্তব্যসমূহ