মো. তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ, দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা শালবনের জীবপ্রাণীদের রক্ষায় ফলদবৃক্ষ রোপনে সুফলা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে শালবনে থাকা বিভিন্ন ধরণের পশুপাখি ও প্রাণীদের খাবার জোগাড় হবে। পাশাপাশি বেতের গাছ রোপন করা হয়েছে। বেতগাছ লাগানোর কারণে বনপ্রাণীদের ভালো ভাবে থাকতে সহায়তা করছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে বন বিট কর্মকর্তা গদাধর রায় সাংবাদিকদের জানান, বন্য প্রাণিদের রক্ষা ও তাদের খাবার জোগাড় করতে অর্জুন, আমলকী, হরতকী, বহেরা, বাজিনা, বেল, করাই, লতা, বড়ই, চালতা,তেতুল, জাম্বুরা, জামরুল, মহুয়া, পেয়ারা, সোনালী নিম,আতা, হলদু, সিদা সহ প্রায় ৩৭ প্রজাতির ফলদবৃক্ষ শালবন বাগানে রোপনের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে।সামাজিক বনায়ন সৃষ্টির লক্ষ্যে সুফল প্রকল্পের নার্সারির মাধ্যমে ১৮ হাজার ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছের উৎপাদিত চারা মাকরাই, জগদল, ভোগডোমা, মুর্শিদপুর, সুন্দরপুর, ইটুয়া ও গড় মল্লিকপুর মৌজার সর্বমোট ৫১৩.৩২ একর জমির প্রস্তাবিত স্থানে রোপন করা হবে।
কিছু দিন আগে শালবনে তিনটি বানরের দেখা মিলেছে অনেকে অভিযোগ করে বলেন এই সব বানর খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে মানুষের খাবার দোকানে, বাসাবাড়িতে উৎপাত করছে । বনে ফলদবৃক্ষ রোপন হলে বন্যপ্রাণীরা এই ফল খেয়ে বসবাস করতে পারবে। চারদিকে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির সুন্দর্য জাতীয় উদ্যান বীরগঞ্জ বিটের শালবনে শুধু পশুপাখি ও বন্য প্রাণীদের মুখে খাবার জোগাড় করার লক্ষ্যে বীরগঞ্জ বন বিট, ঠাকুরগাঁও ফরেস্ট রেঞ্জ, সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরোও জানান, বর্তমানে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান বেরে যাওয়ায় বনের গাছ চুরি রোধ হলেও বন প্রহরী মোঃ আক্তার হোসেন , বাগান মালী মোঃ মুসলেম আলী সহ ৩জন মিলে এত বিস্তৃত বাগান রক্ষণাবেক্ষন করতে তাদের বেশ হিমসিম খেতে হচ্ছে । সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমে ঝড়ে উফরে পরা ১২০টি গাছ দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে এবং আরো প্রায় ২৫/৩০ টি ঝড়ে পরা শালগাছ রয়েছে যেগুলো সংরক্ষণ করে কতৃপক্ষের মাধ্যমে পুনরায় দরপত্র নির্ধারণ করে বিক্রয় করা হবে।
এসময় বিট কর্মকর্তা গদাধর রায় তাদের সুরক্ষার জন্য বীরগঞ্জ বিট অফিস ক্যাম্পাসের চারিধারে বাউন্ডারি প্রাচীর নির্মান আবশ্যক বলে দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
0 মন্তব্যসমূহ