রাজারহাটের সাংবাদিকদের সহযোগীতায় বাছড়া আজিজিয়া আলিম মাদরাসায় ভেস্তে গেছে নিয়োগ বাণিজ্য। বিনা টাকায় চাকুরী পাচ্ছেন ২বেকার যুবক। জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের বাছড়া আজিজিয়া আলিম মাদরাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ও নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি।
নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বেই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়োগ দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে। এরমধ্যে অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদের এক প্রার্থীর কাছ থেকে ১৪লক্ষ টাকা এবং নিরাপত্তা প্রহরী পদে একজনের কাছ থেকে ৮লক্ষ টাকা গ্রহনের অভিযোগ উঠে।
একাধিক প্রার্থীর অভিভাবক এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পী ও স্থানীয় বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব দৈনিক কুড়িগ্রাম খবরের সম্পাদক এস এম ছানালাল বকসী এবং রাজারহাট প্রেসকাব কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এর প্রেক্ষিতে রাজারহাট প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদ ও রাজারহাট প্রেসকাবের সদস্য মাহবুবার রহমান, আব্দুল হাকিম সবুজ, ইব্রাহিম আলম সবুজ, রাশেদুল ইসলাম, রেজাউল হক এবং আব্দুল মালেক সরকার, আনিসুর রহমান আনাস, নিয়োগ পরীক্ষার পূর্ব মহুর্তে বাছড়া আজিজিয়া আলিম মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে নিয়োগ প্রত্যাশিদের সাথে কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকদের কাছে দুটি পদের সংখ্যা গরিষ্ট প্রার্থী টাকার বিনিময়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগের পায়তারা চালানো এবং পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্ন পত্র ফাঁসের অভিযোগ করেন। পরে ডিজির প্রতিনিধি সহ নিয়োগ কমিটির সদস্যগণ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হলে সাংবাদিকরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে তাৎক্ষনিকভাবে নতুন প্রশ্ন পত্র তৈরী করে পরীক্ষা নেয়ার দাবী জানান।
ফলে বাধ্য হয়ে ডিজির প্রতিনিধি ও নিয়োগ কমিটির সদস্যগণ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পূর্বের প্রশ্ন পত্র বাতিল করে নতুন প্রশ্ন পত্র তৈরীর পর নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করেন। শেষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নিয়োগ কমিটি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন। এতে অফিস সহকারি নাম হিসাব রক্ষক পদে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী ৮জন প্রার্থীর মধ্যে মাহবুব রহমান এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে ৭জন প্রার্থীর মধ্যে আরিফুল ইসলাম সজল মেধা তালিকায় প্রথম স্থান লাভ করেন। শেষে নিয়োগ কমিটি দুই পদে তাদেরকে মনোনীত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের সহযোগীতায় এধরনের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান সরকার পূর্বের প্রশ্ন পত্র বাতিল করে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে নতুন প্রশ্ন দিয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরীক্ষা গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
0 মন্তব্যসমূহ