‘জীবনটায় শেষ হয় চল বাদার রাস্তায় থাকতে তাও! কাও একনা ঘর দেন বাবা’


হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাটঃ

জীবনটায় শেষ হয় চল বাদার (বাঁধের) রাস্তা থাকতে কাও মোক একনা ঘর দেন বাবা’-এমন আকুতি করে কথা বলছিলেন ৭৫ বছর বয়সী শ্রবণ প্রতিবন্ধী কদবানু বেগম। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মুন্সীর বাজার তিস্তা নদীর কোল ঘেষা বাধের রাস্তায় বাড়ি।থাকে রাস্তায়  জমিতে।

দু’পাশে ছোট দুটি ভাঙাচেরা টিনের চালা। সেই ঘরে একাই কোন রকম থাকেন তিনি, নেই স্বামী সন্তান! বাড়িতে একটি মেয়ে ছিলো অনেক আগে বিয়ে হয়ে স্বামীর বাড়ি চলে যায় ।সীমাহীন কষ্টে জীবন কাটছে কদবানুর। শীতে হিম হয়ে যায় কদবানু। জমাজমি নেই। বয়সের ভারে ন্যুয়েপড়া কদ বানুর জীবন কাটছে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, স্বামী তো নেই অনেক আগেই মারা গেছে, আর মেয়েটি যতদিন বাড়িতে ছিল তদিন তো শ্রম দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের কষ্টের জীবন। তাছাড়া সব দিনে তো আর কাজ পায় না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার সীমাহিন কষ্টের এমন চিত্র। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত একটি কম্বলও দেয়নি কেউ। মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে একটি ঘরের আবেদন কদবানু বেগমের।

কদবানু বেগমের কষ্টের কথা স্বীকার করে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, তার একটি ঘরের  প্রয়োজন।সে একটি কম্বলও পায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কদবানু অনেক আছে, কাকে রেখে কাকে দেই। তবে পরবর্তী বরাদ্দ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ