রংপুর ব্যুরো অফিসঃ
দিগন্ত জুড়ে হলুদ সরিষা ক্ষেত নীলফামারীর ডিমলার প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরুপ রুপে সরিষা গাছে গাছে মৌ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে মৌমাছি। যেন ফিরে তাকানোর ফুরসুতও নেই। অনেক তরুনী সরিষা ফুল ছিড়ে খোপায় গুজে উচ্ছসিত হয়ে মনের উল্লাসে ঘুরে বেড়ায় ক্ষেতের আল পথে।
যেন আনন্দে আটখানা। আমন ধান কাটার পরে বোরো ধানের চারা রোপনের মধ্যবর্তী সময়টাকে কাজে লাগাতে কৃষকেরা আবাদ করেন লাভজনক দানাদার শষ্য সরিষা। মধ্যবর্তী সময়ে আবাদ করা ফসল অনেক কৃষকেই করেছে বেশ উৎসাহী। কৃষি বিভাগের তৃণমুল পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক কুমার রায়ের পরামর্শে এ ফসল আবাদ করছে কৃষকেরা। ৩০ শতাংশের এক বিঘা জমি আবাদে নিড়ানী, সেচ, সার, কাটা-মাড়াইয়ে খরচ পড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। একশ থেকে একশ ২০ দিনের এ ফসলে বিঘায় ফলনও আসে সাত থেকে আট মন।
যা বিক্রি করে কৃষকের ঘরে উঠে ১৬ থেকে ২০হাজার টাকা উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে মুনাফাও হয় আশাতীত। যে সব সরিষা ফুল ও পাতা জমিতে ঝড়ে পড়ে এতে জমি হয় বেশ উর্বর। সরিষা কাটা-মাড়াইয়ের পরে ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করলে সাধারনত সামান্য পরিমান রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে ফলন খুবই ভাল হয়।
কমে আসে উৎপাদন খরচও। ফলনও হয় খুব ভাল। ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন তিতপাড়া গ্রামের কৃষক নূরুল আমিন বলেন যে, আমি ২বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। আমি কয়েক বছর ধরে সরিষা আবাদ করি আবাদি সরিষার তেল খাই। সারা বছরের তেল খেতে যে সরিষা লাগে তা রেখে দিয়ে বাকীটা বিক্রি করি। এতে আমার ভাল মুনাফা হয় সরিষা বিক্রি করার মুনাফার টাকা দিয়ে আমি বোরো ধানের আবাদ করি বিঘা প্রতি খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।
বিঘা প্রতি ফলন হয় সাত থেকে আট মন সরিষার হয় জমি খুব উর্বর হয়। বোরো ধান আবাদের সময় জমি চাষ ও সার কম লাগে। দুই ফসলের মাঝখানে সরিষা একটি লাভজনক ফসল। এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন গতবছর ডিমলা উপজেলায় ৫৯৯ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে এবারে ৭৬০হেক্টর বেশী জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে ৫৯৯ টি পরিবারকে ১কেজি করে সরিষার বীজ প্রদান করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবারে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ