মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে লৌহজং প্রেস ক্লাবের নাম ব্যাবহার করে কমিটি গঠন এবং ঘোড়দৌর বাজারের দৌলতখান কমপ্লেক্স এ একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে সাইন বোর্ড টানিয়ে লৌহজং প্রেস ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে হলুদ সাংবাদিকতা শুরু করায় গত ১৮ জানুয়ারী ২০২১ইং মুন্সীগঞ্জের বিজ্ঞ লৌহজং সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করা হয়েছে (মামলা নং০৮/২০২১)।
আর এ মামলার পরিপেক্ষিতে আদলত গত ২৪ তারিখে ১০ দিনে মধ্যে ঐ কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকারী কমিটির ১১ জনকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায় ২০০৫ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও চারন সাংবাদিক মরহুম সফিউদ্দিন আহম্মেদের সভাপত্বিতে লৌহজং প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় । আর সে সময় থেকে এ পর্যন্ত লৌহজং প্রেসক্লাবের কার্যক্রম চলামান।
আর সর্বশেষ গেলো ১৬ অক্টোবর ২০২০ইং তারিখে লৌহজং প্রেসক্লাবের সকল সদস্যদের সর্মতিক্রমে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকা ও এসএটিভির সাংবাদিক এম.তারিকুল ইসলামকে সভাপতি ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদের প্রতিনিধি মো:জাকির হোসেন সিকদারকে সাধারন সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্ত ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর লৌহজং প্রেস ক্লাবের নাম ব্যাবহার করে স্থাপিত ২০২০ দিয়ে লৌহজং প্রেস ক্লাবের ১১ সদস্যের একটি অবৈধ কমিটি গঠন করে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে চিঠি ও ফেইসবুকে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে কথিত নামধারীরা।
এ ব্যাপারে লৌহজং প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন সিকদার বলেন যারা লৌহজং প্রেসক্লাব স্থাপিত ২০২০ দিয়েছে তারা তো লৌহজংয়ের সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার ইতিহাস জানেনা ।তারা কখনো লৌহজং প্রেস ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেনি ও সদস্যও হয়নি ।তাহলে তারা কিভাবে লৌহজং প্রেসক্লাব নতুন ভাবে গঠন করে?তাদের উদ্দ্যেশ্য কি? আর লৌহজং প্রেস ক্লাব তো ২০০৫ সালেই স্থাপিত। আর এ জন্যই আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করা হয়েছে।
মামলা করার পরেও তারা সম্পূর্ন বে আইনিভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ।তাহলে কি তারা আইন-আদালত,নিয়মকানুন,ইতিহাস কিছুইকি মানবেনা ।আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আমরা আদালতের দারস্ত হয়েছি।
0 মন্তব্যসমূহ