সোহেল রানা, হিলি প্রতিনিধিঃ
ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে চালের দাম অস্থির বিরাজ করছে। দাম এখন ক্রেতার নাগালের বাইরে। আর দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজার স্বাভাবিক রাখতে স্বল্প সময়ের দেশের ১০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিক চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে হিলি স্থলবন্দরের রেণু কন্সট্রাকশন নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে চাল আমদানির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। তবে বন্দর এলাকায় একমুখী রাস্তার কারনে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হয় যানযটে,এর ফলে বিপাকে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। আর এই যানযটের কারনে সরকারের বেধেঁ দেওয়া সঠিক সময়ে চাল আমদানি নিয়ে শংঙ্খায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।
আমদানিকারক রেণূ কন্সট্রাকশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আনিছুর রহমান জানান,দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর থেকে শুধু মাত্র আমরাই ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছি।সরকারের শর্তবালী মেনে কার্যক্রম শুরু করেছি।আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে চাল আমদানি শুরু হবে। আর চাল আমদানি শুরু হলে এবং সঠিক সময়ে সরবরাহ করলে দেশের বাজারে দাম কমে আসতে শুরু করবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান,বন্দরের একটি প্রতিষ্ঠান চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।তারা চাল আমদানির জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে স্থলবন্দর এলাকায় প্রতিনিয়তই যানযটের সৃষ্টি হয় ব্যহৃত হয় আমদানি-রপ্তানি। অন্য বন্দর গুলোতে আমদানি-রপ্তানি সকাল ৯ টায় শুরু হলেও খালি ট্রাক ভারতের প্রবেশের পরই ১১ পরে শুরু হয় পণ্য আমদানি।
তিনি আরো বলেন,যেহেতু সর্কীণ রাস্তার কারনে যানযটের সৃষ্টি হয়, এদিকে সরকার চাল আমদানিতে নিদিষ্ট সময় বেধেঁ দিয়েছে,তাই সঠিক সময় চাল আমদানি নিয়ে শংঙ্খায় রয়েছি আমরা।সরকারের কাছে দাবি চাল আমদানির ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর দাবি জানান।
0 মন্তব্যসমূহ