বিজয়ের মাসেও দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের ধরন্দা (ফকিরপাড়া) গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী (৭০) কে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ , ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে কোদাল দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিবেশী রাজা মল্লিক। সীমানা ঘেরাাকে কেন্দ্র এঘটনা ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগ করেও জোরালো কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ, এমনটিই অভিযোগ ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ হিলির মুক্তিযোদ্ধাদের।
আজ রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী বলেন, গতকাল শনিবার সকালে আমার বাড়ি ও প্রতিবেশি রাজা মল্লিকের বাড়ির মাঝখানে বাঁশের তৈরি সীমানা প্রাচির রয়েছে। সীমানা প্রাচিরের বাঁশের খুঁটিটি পচে ভেঙে গেছে। আমি নতুন করে বাঁশের খুঁটি দিয়ে সীমানা তৈরি করি। পরে আমার নাতিকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম।
এসময় রাজা এবং আরও চার-পাঁচ জন আমার নিকট আসে। তখন রাজা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, সেই ভাষাগুলো মুখে বলা সম্ভব না। আমি শুধু তাকে বলেছি এতো খারাপ ভাষায় কেন গালিগালজ করছো। এমন সময় রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তার হাতে থাকা কোদাল দিয়ে আমাকে চোট মারতে গেলে প্রতিবেশী আবু বক্কর, ইসলাম শেখ ও রওশনারা এসে কোদালটি ধরে ফেলে এবং আমাকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, তারা কোদালটি না ধরলে হয় তো আমি মারা যেতাম। পরে থানায় গিয়ে আমি লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু পুলিশ আমাকে বলছে দিনাজপুর কোটে আমাকে আবেদন করতে। প্রতিবেশী আবু বক্কর জানান, শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীকে রাজা মল্লিক খারাপ ভাষায় গালাগালি করে এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে রাজার হাতে থাকা কোদাল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে চোট মারতে গেলে আমরা তার হাত থেকে কোদালটি কেড়ে নেই।
হিলির বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার শামসুল আলম জানান, আমরা মাটি ও মানুষের জন্য যুদ্ধ করেছি। দেশকে আমরা স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ আমরা এই দেশের কিছু মানুষের নিকট নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের সহকর্মী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীকে তার প্রতিবেশী রাজার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শুধু তাই নই তাকে কোদাল দিয়ে হত্যা করার চেষ্টাও করেছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের নিকট অভিযোগ করেও থানা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না।
এ বিষয়ে হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ অফিসারদের পাঠানো হয়েছিলো। আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
0 মন্তব্যসমূহ