হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাটঃ
চলতি রবি মৌসুমে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীর জেগে ওঠা ধু-ধু বালু চরে পেয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। জানাগেছে, গত বছর পেয়াজের সংকট এবং দাম বেশি হওয়ায় এসব চর এলাকায় চাষীকুল অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম তামাক চাষ না করে এবারে চরাঞ্চলে শুধু পেঁয়াজ চাষে ঝুকে পড়েছে চাষীরা।
তাই সর্বনাশা তিস্তানদীর জেগে উঠা চর সমুহে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে চাষীরা। সোমবার উপজেলার চর সিন্দুর্না, চর ধুবনী,গড্ডিমারী ও পাটিকাপাড়া চর এলাকা ঘুরে প্রতিয়মান হয়েছে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন।
এসব চর এলাকার কৃষক বন্যায় রোপা আমন চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পেঁয়াজ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছে। এসময় পেঁয়াজ চাষী আকবার আলী জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পেঁয়াজ ক্ষেতে কোন আপদ দেখা যায়নি। পেঁয়াজ ঘরে তোলা সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রোপা আমনের ক্ষতি পেঁয়াজ দিয়ে পুসিয়ে নেওয়া যাবে।
চাষী লতিফুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজার মুল্য স্থীতিশীল থাকলে পেঁয়াজ চাষীরা লাভবান হবে। এছাড়াও চাষীরা আগামীতে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবে। রবিবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারনে যোগাযোগ করা হলে কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে এ উপজেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।
গত বছরে বাজারের পেঁয়াজের তীব্র সংকট এবং মুল্য বৃদ্দি হওয়ায় সরকার উৎপাদন বৃদ্দির লক্ষে চাষীদের কে বিনা মুল্যে পেঁয়াজের বীজ ও সহয়তা দিয়েছে। চাষীরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠছে। তিনি আশা করেন এবারে পেঁয়াজ চাষ ও বাম্পার ফলনে উৎপাদিত পেয়াজ দিয়ে দেশের চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে।
0 মন্তব্যসমূহ