বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আগামী পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো নীলফামারীর জলঢাকা পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। শুক্রবার(০৪ ডিসেম্বর) সন্ধায় পৌর আওয়ামীলীগ অফিস কার্যালয়ে পৌর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌর মেয়র কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ।
পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. মমতাজুল হক, সাবেক সাংসদ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা,
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল, উপজেলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, উপজেলা আ'লীগের সদস্য একে আজাদ ও মতিয়ার রহমান।
পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ এর পরিচালনায় এসময় উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বর্ধিত সভায় আগামী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের (নৌকার) প্রার্থী হিসেবে উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর নাম প্রস্তাব করেন, পৌর আ'লীগের সকল নেতৃবৃন্দ।
এসময় জেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক উপস্থিত বর্ধিত সভায় পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থীর নাম ঘোষনা করলে পৌর আওয়ামীলীগ সর্ব-সম্মত ভাবে ইলিয়াস হোসেন বাবলুকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু ছাড়াও অন্য দুই প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন আলী ও জিতেন্দ্র নাথ রায়।
উপস্থিত বর্ধিত সভায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন আলী মেয়র প্রার্থীতার জন্য নিজের নাম ঘোষণা করে। তবে প্রস্তাবকারী একজনকে পাওয়া গেলেও সমর্থনকারী পাওয়া যায়নি। এদিকে সরকারি কর্মচারী (অবঃ) জিতেন্দ্র নাথ রায়ের কোন প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী না থাকায় তিনি নিজেই নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেন।
এ দুই প্রার্থীর পক্ষে কোন প্রস্তাব ও সমর্থনকারী না থাকায় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী মহসিন আলী মুঠোফোনে জানান, আজকে পৌর আ'লীগের বর্ধিত সভা হবে জানতে পেয়ে, আমি সেখানে যাই। মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করি, কিন্তু প্রস্তাবকারী থাকলেও সমর্থনকারী কাউকে পাওয়া যায়নি।
তারপরও আমার নাম থাকার কথা। এদিকে জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে জানান, আমাকে বর্ধিত সভায় অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারণ আমার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী পাওয়া যায়নি, যার ফলে আমি চলে আসি।
পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বলেন, সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর কোন বিকল্প নাই। কারণ পৌর আ'লীগের সর্বস্থরের নেতাকর্মী যেখানে সাবেক মেয়রকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব ও সমর্থন দিয়েছে।
এছাড়াও পৌরবাসিও বাবলুকে মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। তিনি আরো বলেন, তারপরও আমরা সকলের সম্মতিক্রমে রেজুলেশনের মাধ্যমে তিনজনের নাম জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠাবো। আমরা আশাবাদী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুকে নৌকার মনোনয়ন দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
0 মন্তব্যসমূহ