রাশেদ কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের, ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন রাতভর কুয়াশা ও অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা, অলস দিন কাটাচ্ছে খেটে খাওয়া হাজারও মানুষ। ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার কারনে কাজকর্ম করতে না পাড়ায় খেটে খাওয়া মানুষ গুলো দিনাতিপাত করছে অনাহার অর্ধাহারে। (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রার আরো কমতে পারে বলে জানান তিনি
এদিকে, অব্যাহত কুয়াশা ও ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা জনপদ। শীতের প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কষ্ট বেড়েই চলেছে। সদ্য বেড়ে ওঠা বোরো বীজতলাসহ কেবলই গজিয়ে ওঠা আলু খেতগুলোতে অতিরিক্ত কুয়াশার কারনে ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কৃষক রাছেল সরদার বলেন, একেতো এবার কয়েক দফা বন্যায় আমাদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তার ধকল কাটতে না কাটতেই আবার শীতের ধকল কৃষিতে পড়েছে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগাম কৃষি শুরু করেছি। কয়েক সের জমিতে বোরো বীজ লাগিয়েছি। কুয়াশার কারনে কিছু বীজতলা ঠান্ডায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম প্রায়।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার নদনদী তীরের চরের হতদরিদ্র মানুষ। এসব মানুষ সকাল হলেই কাজে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু এ ঠান্ডায় দুপুর পেরিয়ে গেলেও কাজে যেতে পারছেন না। ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে। এছাড়াও গত দুই সপ্তাহে শীতজনিত ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ ব্যাধি বাড়ছে।
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন প্রতিদিনে প্রায় ৪০% রুগী ঠান্ডা জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন, এর মধ্যে দুই দিনে ৭জনকে ভর্তি করা হয়েছে বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গিয়েছে। তিনি আরো বলেন এই ঠান্ডা জনিত সমস্যা নিয়ে বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধরা আসছেন হাসপাতালে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন রাজারহাট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সকল স্বাস্থ্য সেবা দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে ।
0 মন্তব্যসমূহ