রতন কুমার রায়-স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘ ৫৫ বছর পর নীলফামারী ডোমার চিলাহাটি বাসীর কাংখিত স্বপ্ন পূরণ হলো ভারতের হলদিবাড়ীর সাথে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের মধ্যে দিয়ে। বৃহস্পতিবার(১৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিলাহাটী-হলদিবাড়ী রুটে রেল যোগাযোগের শুভ উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রজাতন্ত্রী ভারত সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
চিলাহাটী রেল স্টেশন চত্ত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্টেশন হতে একটি ইঞ্জিন ৩২টি পণ্যবাহী বগি নিয়ে দুপুর ১টায় ভারতের হলদিবাড়ী স্টেশনের উদ্যেশে রওনা দেয়। সে সময় রেললাইনের দু’ধারে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সমবেত হয়ে হাত উঁচিয়ে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম,রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা,
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান পিপিএম, ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, ডোমার সার্কেল জয়ব্রত পাল, ইউএনও শাহিনা শবনম,ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, ওসি মোস্তাফিজার রহমান,নারী নেত্রী সরকার ফারহানা আক্তার সুমি প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরেও চিলাহাটী- হলদীবাড়ী রেলপথটি চালু ছিলো। ‘দার্জিলিং মেইল’ নামে একটি ট্রেন চলতো। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে নীলফামারী জেলার ডোমারের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত রেলপথ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বন্ধ থাকা রেলপথটি চালু করতে উদ্যোগ নেয় দু’দেশের সরকার। ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ৮০ কোটি ১৬ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
0 মন্তব্যসমূহ