ঘন কুয়াশায় ঢেকে পড়েছে নীলফামারী, লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবহন


মো. সাদিক-উর  রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ
নীলফামারীতে  হঠাৎ বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা, হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবহন। দুইদিন থেকে সূর্য দেখা মেলেনি এলাকাবাসীর। ঘন কুয়াশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে নীলফামারী  শহর ঘুরে দেখা গেছে, নীলফামারী থেকে সৈয়দপুর , ডোমার থেকে নীলফামারী রুটে যানবহনগুলো হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে গাড়িগুলো যাতাযাত করছে। ঘন কুয়াশায় ধীর গতিতে গাড়ি চালকরা চলাফেরা করছে । গতকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখতে পায়নি  নীলফামারীবাসী। 

কাজের সন্ধানে কুয়াশা অন্ধকারেও বসে আছে দিনমজুরেরা । দেখা গেছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতিটি  যানবহন লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করেছে। ঢাকা থেকে আসা নৈশ হানিফ কোচ চালক খলিল মিয়া সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, এতো কুয়াশা, রাস্তায় গাড়ি চলা বড় কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। নীলফামারী থেকে রংপুরে গাড়ি নিয়ে আসতে সময় লাগে মাত্র ৪৫ মিনিট, আর সেখানে আজ সময় লেগেছে দুই ঘন্টা। কুয়াশায় তো গাড়ি জোরে চালানো যায় না এবং সড়ক দূর্ঘটনার আশঙ্কও তো আছে।

কথা হয় ভ্যান চালক সলেমানের সাথে, তিনি বলেন, ভোরে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কুয়াশায় রাস্তায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। বসে আছি অনেকক্ষণ কিন্তু কোন যাত্রী পাচ্ছি না যদি ভারা না মারতে পারি তাহলে সংসার চালাবো কি করে। শীতের মোটা মোটা কাপড় পড়ে কাঁধে কোদাল ও ডালির  ঝুলিয়ে হেটে চলছে ৫০ বছরের দুলাল কাকা , জানতে চাইলে বলেন, কাজের খোঁজে বের হয়েছি বাবা। কাজ না করলে সংসার চলবে কি করে। ছেলেরা তো বিয়াশাদী করে যার যার মতো চলছে। মানুষের বাড়িতে কামলা দিয়ে যা পাই তাই দিয়ে চলি । শীত আর কুয়াশাকে ভয় করলে কাজ পাওয়া যাবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ