এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিলম্বে প্রাপ্ত পুৃলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়ার শ্রী মানিক দাসের মেয়ে বর্ষা রাণীর (২০) সাথে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বড়দহ মাঝাপাড়ার ভূপতি চন্দ্র সরকারের ছেলে সুমন চন্দ্র সরকারের (২৫) বিয়ে হয়।
গৃহবধূ বর্ষা রাণী গতকাল শুক্রবার সকালে তার স্বামী সুমনকে বলে সে বাবার বাড়িতে যাবে। এসময় স্বামী সুমন আজ নয়, কাল কিংবা পরশু নিয়ে যাবেন বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন। এ অবস্থায় গৃহবধূ বর্ষা রাণী স্বামী সুমন চন্দ্র সরকারের ওপর অভিমান করে বসেন। ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়িতে নিজ শয়নকক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
এরপর ঘরের বাঁশের তীরের সঙ্গে গলায় শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তাঁর স্বামী সুমন ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাঁর স্ত্রীকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এতে তাঁর কোন রকম সাড়া শব্দ না পাওয়া তাঁর মনে সন্দেহ হয়। পরে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে স্ত্রী বর্ষা রাণীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসেন। সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। আজ শনিবার নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে লাশের তদন্ত সম্পন্ন শেষে মৃতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ