জুয়েলের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার করলেন ডিসি


ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাটঃ

গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার শিকার রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান মো. সহিদুন্নবী জুয়েলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

রোববার(৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নিহতের পরিবারের পক্ষে নিহত জুয়েলের মেয়ে জেবা তাসনিয়ার হাতে ২০ হাজার টাকা অনুদানের চেক প্রদান করে জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এ সময় সাথে ছিলেন নিহত জুয়েলের বড় ভাই আবু ইউসুব মোঃ তওহিদুন্নবী।

নিহত শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলেন তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার করে। ওইদিন তার সঙ্গী একই এলাকার সুলতান রুবায়াত সুমনকে গনপিটুনি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকিয়ে রাখেন স্থানীয়রা। পরে নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) একটি মামলা দায়ের করেন।

নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরীচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। আলোচিত এ ঘটনায় তিনটি মামলা ১১৪জনের নামসহ শত শত অজ্ঞাত আসামীর মধ্যে পুলিশ রোববার(৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ২৯জনকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত জুয়েলের মেয়ে জেবা তাসনিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবাকে যারা এভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার কর্যক্রম দ্রুত চাই। শুধু অনুদান নয়, বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাইতেই এসেছি আমি। বিচার পেলেই আমি ও আমার পরিবারের কষ্ট মুঝে যাবে।

নিহত জুয়েলের বড় ভাই আবু ইউসুব মোঃ তওহিদুন্নবী সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের তৎপরতায় আমাদের বিশ্বাস ন্যায় বিচার পাবো। ন্যায় বিচারের অপেক্ষা রয়েছি। তবে দ্রুত বিচার কার্য শেষ করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ