রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ীর মধ্যে সংযোগকারী রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। শনিবার (১৪ নভেম্বর) চিলাহাটি রেল স্টেশন থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৬.৭০ কি.মি. রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প কাজের সমাপ্তি ও ভারতীয় হলদিবাড়ী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৩.৮০ কি.মি. নির্মাণ কাজ শেষ সংযোগ স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি সকালে রেলের একটি ট্রায়াল ইঞ্জিনে চড়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত গমন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী জানান, আগামী ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আমরা মালগাড়ী চলাচল করার জন্য ভারতীয় কতৃপক্ষ ও আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে ভারতের রাষ্ট্রদুতকে অবহিত করেছি।
ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্মতি দিলে ১৬ ডিসেম্বর অথবা আগে পিছে যে কোন সম্ভাব্য তারিখে গাড়ী চলাচল উদ্বোধন করা হবে। শুরুতেই মালবাহী রেলগাড়ী চলাচল হইলে পরবর্তীতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের পর নতুন নামে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ী পর্যন্ত একটি ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাস্টম এবং ইমিগ্রেশন ঢাকাতে অথবা চিলাহাটিতে হতে পারে। সব কিছু হবে তখনকার পরিস্থিতির উপর। এই ট্রেন চলাচল বহুদিন আগেই শুরু হতো কিন্তু অন্য একটি দল ক্ষমতায় থাকার কারনে চালু হয়নি। আজ এই সরকারের আমলে চালু হতে যাচ্ছে। উচ্ছেদ হওয়া রেল লাইনের ধারে বসবাসকারী ৭৮টি পরিবারের কয়েকশত সদস্য মন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যর দাবী জানালে রেলমন্ত্রী তাদের সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম,সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা) সার্কেল জয়ব্রত পাল,ডোমার থানা ইন্সপেক্টর বিশ্বদেব রায়, ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক মায়মুনুল রহমান।
রেলের পশ্চিম জোনের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন,বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম, নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রস্টোকচার লিমিটেড কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ