মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে কে গণধর্ষন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তেঁতুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ বুধবার বিকেলে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে; তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের কাউরগছ গ্রামের হাফিজউদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুক ইমন (২৬), ওই ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রামের এনামুল হকের ছেলে মো. সোহাগ (২২) ও একই ইউনিয়নের কাউরগছ গ্রামের দারাজউদ্দিন ওরফে গুমানুর ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬)। পুলিশ বুধবার বিকেলে ওই দুই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সারাদিন বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরির পর রাতে তাদেরকে ওমর ফারুক ইমনের কাছে হস্তান্তর করে। ইমন, আনোয়ার ও সোহাগ তাদেরকে দেবনগর ইউনিয়নের পাথরঘাটা নিজবাড়ি এলাকার আব্বাস আলীর বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে তারাসহ অপর আসামীরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে কে ধর্ষণ করে। এতে দুই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর বুধবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ওই ধর্ষিত শিক্ষার্থীরা থানায় হাজির হন। এরপর থানায় দুই কিশোরীর জবানবন্দি অনুযায়ী ভজনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই কিশোরীর বাবা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। দুইশিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি তাদের গণধর্ষন করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি জহুরুল ইসলাম জানান, দুই কিশোরির বাবা অপহরণের পর ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। তিন আসামীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।গ্রেফতারকৃতদের বৃহষ্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে ।
পঞ্চগড়ের এএসপি (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দুই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এবং পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ