ওবাইদুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার গোন্দিগঞ্জের আবদুল ওয়াহাব নামে এক যুবককে ওষুধ কোম্পানীতে চাকরী দেবার কথা বলে তার একটি কিডনী অপারেশন করে বের করে নিয়েছে সংঘবদ্ধ আর্ন্তজাতিক কিডনী পাচার চক্রের সদস্যরা। তাকে পাসপোর্ট ও ভিসা করে কুমিল্লা জেলার বিবির বাজার স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে হত্যা ও গুম করার ভয় দেখিয়ে কিডনী নেয়া হয়। এ ব্যাপারে একজন গুরুত্বপূর্ণ আসামীকে গ্রেফতারের পর চক্রটি সম্পর্কে জানা যায়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসন -পিবিআই’র পলিশ সুপার মো. এ আর এম আলিফ সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য দেন। এ সময় ভুক্তভোগী মো. আবদুল ওহাব উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের এই ঘটনার বিস্তারিত জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, গোবিন্দগঞ্জের ছোট সোহাগী গ্রামের রং মিস্ত্রী আবদুল ওহাবের সাথে গাজীপুর জেলায় মো. রাকিবুল হাসানের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয়। সে ওহাবকে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সেই থেকে তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যে কালিয়াকৈর থেকে রাকিবুল আটক হয়। সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে সে একজন ‘ডিলার’ এবং ওহাবকে কিডনী পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
ওহাবের বাবা আবদুল মজিদ সরকার গোবিন্দগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে পিবিআই তদন্ত ভার গ্রহন করে। পরবর্তীতে চক্রের সদস্য মো. রায়হান আলীকে এ বছরের ১৩ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় । সে জানায় ওহাবকে সান এন্টারপ্রাইজের মালিক তাদের’ বস’ কবীরের মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, কবিরের সাথে ওহাবের ৫লাখ টাকায় কিডনী দেবার রফা হয়।
তবে কিডনী নেবার পর তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে এজাহারভূক্ত ৪ আসামী থাকলেও অন্যদের সংশ্লিটতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সুপার বলেন , গত কয়েক বছরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট এবয় আশেপাশের এলাকা থেকে ৪৫ থেকে ৫০ জনকে পাচার করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ