মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুরঃ
মাত্র একদিনের ব্যবধানে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা ধুলিয়া পঞ্চায়েতপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।আজ রবিবার দুপুর ২ টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকার আটটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে পরিবারগুলোর প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো কনকনে শীতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। জানা যায়, ঘটনার দিন আজ রবিবার দুপুর ২টার দিকে খাতামধুপুর ইউনিয়নের এলাকার মো. আলী হোসেনের বাড়িতে আকস্মিক আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা প্রতিবেশি নুর হক, নুর জামাল, এমদাদুল হক, মাজেদুল ইসলাম, মানিকুল ইসলাম, ময়নুল ইসলাম ও অহিলা বেগমের বাড়িঘরেও ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনে ওইসব পরিবারের ১৮টি টিন ও খড়ের ঘর, টাকা স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, মূল্যবান কাপড় চোপড়, ধান, চালসহ সংসারের সবকিছুই পুড়ে ছাঁই যায়। খবর পেয়ে রংপুরের তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু তার আগে পরিবারগুলোর সবকিছু পুড়ে ছাঁই যায়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা পরণের কাপড় ছাড়া আর কোন কিছু রক্ষা করতে পারেনি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রবিউল আলম, খাতামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
আজ বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ৮টি পরিবারেের মাঝে পাঁচটি করে কম্বল ও তিনটি করে শুকনা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য এরআগে গত শুক্রবার রাতে ওই ইউনিয়নের একই এলাকার মুশরত ধুলিয়া নয়াপাড়ায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিনটি পরিবারের ১১ টি ঘর, কাপড় চোপড় আসবাবপত্র, ধান চাল,টাকা পয়সা সহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়।
0 মন্তব্যসমূহ