মো.কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা হিমকণ্যা খ্যাত পঞ্চগড়ে অগ্রহায়ণে এসে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। আশি^ণ-কার্তিক পেরিয়ে গেলেও শীতের তেমন দাপট দেখা যায়নি।এই দুই মাস রোদ্রের কারনে বেশ গরম ছিলো দিনে। তবে রাতে একটু একটু শীতের আমেজ ছিলে। আজ রোববার (২২নভেম্বর) দুপুরের পরেই শীতে শরীরে কাপুনি তোলে। অনেকে রোদ্রে গিয়ে শরীরকে গরম করার চেষ্টা করে।
এদিকে শীতের দাপটে পঞ্চগড় শহরের দোকানগুলিতে গরম কাপড়ের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। লেপ তোষকের দোকান গুলিতে অর্ডার দেওয়া হচ্ছে । ব্যস্ততা দেখা গেছে এসব দোকানে কারিগরদের। লেপ তোষকের দোকান মালিক বকুল জানায় ‘ শীতের সময় তো ব্যস্ততা বাড়বেই। এটা বেচা কেনার মৌসুম। গার্মেন্স দোকানদার সোহেল জানায় ‘ বেচাকেনা হচ্ছে মোটামুটি, বিকেলের পর ভিড় বাড়ে। বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের জেকেট,শীতের পুরো হাতা গেঞ্জি, ছোটদের নানা রঙের গরম কাপড়। তিনি বলেন সব দোকানে সবাই গরম কাপড় তুলেছে।
এদিকে আজ এ বছরের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা তেতুঁলিয়ায় রেকর্ড করে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস। আজকের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে ১২ নভেম্বর ছিলো ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে দুপুরের দিকে একটু একটু গরম অনুভূত হলেও এর পরেই সেই গরম আর লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বিকেলে একটু একটু মৃদু বাতাস বইতে থাকে। তবে দুই তিনদিন থেকে সন্ধ্যার পরে কুয়াশায় আছন্ন হয়ে পড়ে এলাকা।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান ‘ রোববার সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তিনি বলেন ‘ দিনে একটু গরম থাকার কারন’ বঙ্গোপসাগরে নিম্মচাপ। এই নিম্মচাপ চলে গেলে আর গরম থাকবে না’ এবং সাথে শীতও বাড়বে।
0 মন্তব্যসমূহ