মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
মুজিব বর্ষকে ইতিহাসের পাতায় অমলীন করে রাখতে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা থেকে শুরু হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন’। গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে ফ্ল্যাগ অফ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি সাইক্লিষ্টদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এক্সপেডিশনের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার আনিসুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশনের একশ জন সাইক্লিষ্ট এই এক্সপেডিশনে অংশ নিচ্ছে। এক হাজার ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আগামি ৩ ডিসেম্বর টেকনাফে মুজিব বর্ষের সাইক্লিং এক্সপেডিশন শেষ হবে। মুজিব বর্ষের সাইক্লিং এক্সপেডিশন উপলক্ষে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাইকেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার দুঃসাহসিক প্রয়াস গ্রহণ করেছে। সম্পূর্ণ পথে জাতির পিতার জন্মশত বর্ষের চেতনাকে ধারণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশনের একশ জন সাইক্লিষ্টের অংশগ্রহণে মুজিব বর্ষকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন ‘ জাতির পিতার প্রজ্জ্বলিত শিখার আলোয় সমগ্র বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করাই এই সাইক্লিং এক্সপেডিশন’এর মুল উদ্দেশ্য । একই সাথে একাত্তরের চেতনাকে মহিমান্বিত করে তোলার জন্য ৭১ জন সাইক্লিষ্ট এই অপরাজেয় সাইক্লিং এক্সপেডিশন চলমান রাখবে।
0 মন্তব্যসমূহ