রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারীর ডোমারে পাঙ্গা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলীম মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর তিনটি পদে ১২ জনের কাছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিবাদ ও পূর্ণরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে ডোমার-ডিমলা সড়কের পাঙ্গা চৌপথীতে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে সহস্রাধীক মানুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নেয়া আব্দুল আজিজ, লাভলী বেগম, নুর জামান, এলাকাবাসী তফিজার রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মতিন প্রমূখ।
বক্তরা বলেন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে গত ৬ নভেম্বর রংপুর জেলার তারাগঞ্জ ও/এ ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরিক্ষায় অর্থের বিনিময়ে তিন জনের নিয়োগ দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে অধ্যক্ষ এ কে এম রিয়াজুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুলাল হোসেনকে পরিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে নিয়োগের জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চায়। টাকা ফেরত ও পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা প্রদানের আশ্বাস দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আয়া পদে চাকুরী প্রত্যাশী লাভলী বেগমের স্বামী সাজেদুর রহমান মানিক বলেন, আমার স্ত্রীকে আয়া পদে নিয়োগের জন্য সভাপতি দুলাল হোসেন ও অধ্যক্ষ আট লক্ষ টাকা নেয়। চাকরী না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুলাল হোসেন আট লক্ষ টাকার তার সই করা চেক দেন আমাকে।
তিনটি পদে নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ ও সভাপতি ১২ জনের কাছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষ নেয় বলে তারা দাবী করেন। বক্তরা অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে দেওয়া নিয়োগটি বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবী জানান ।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম রিয়াজুল ইসলামের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুলাল হোসেন জানান, তারাগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষা শেষে অধ্যক্ষকে পরীক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি আগামী মঙ্গলবার টাকা ফেরত দিতে চাইলে অবরুদ্ধকারীরা অধ্যক্ষকে ছেড়ে দেয়। প্রসঙ্গত: তিনটি পদে ২৮ জন আবেদন করলেও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৮ জন।
0 মন্তব্যসমূহ