মাহমুদুল হাসান, পীরগঞ্জ (রংপুর)ঃ
রংপুরের পীরগঞ্জে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসার পানির কারণে ৩ সহস্রাধিক পুকুর প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে বিপুল পরিমাণ মাছ। এতে মৎস্য চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসার পানির কারনে উপজেলার চৈত্রকোল, টুকরিয়া, মদনখালী, কাবিলপুর, চতরা, বড় আলমপুর, বড়দরগাহ ও কুমেদপুর ইউনিয়নে মৎস্য চাষিদের ক্ষতির পরিমান সর্বাধিক।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় এবারে মৎস্য চাষকৃত পুকুরের মোট আয়তন ৬৭৯ হেক্টর। আর মৎস্য চাষীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫২৭ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৬৮ জন মৎস্য চাষীর পুকুর প্লাবিত হয়েছে। এতে ১টি পৌরসভা সহ ১৫ টি ইউনিয়নের ৮০ শতাংশ পুকুরের কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা মুল্যের প্রায় সাড়ে ১৬ মে:টন মাছ পুকুর থেকে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
বড়দরগাহ ইউনিয়নের গুর্জিপাড়া গ্রামের মৎস্যচাষি আঃ খালেক জানান, বন্যায় তার পুকুরের প্রায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে।
চৈত্রকোল ইউনিয়নের মৎস্য চাষী সালাম মিয়া জানান, তিনি ২ একর পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। বন্যার কারণে তার প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে।
টুকুরিয়ার ছাতুয়া গ্রামের মানিক মিয়া জানান, পরিবারের অভাব ঘোচানোর আশায় নিজের ৪০ শতাংশ পুকুরেও মাছ চাষ করেছিল বন্যায় সমুদয় মাছ ভেসে গেছে। অনুরুপ অবস্থা চতরা ইউপির মৎস্য চাষী কায়কোবাদ মন্ডল ছাবু, কুমেদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মৎস্য চাষী মনজুর হোসেন, গুর্জিপাড়ার আঃ লতিফ সহ উপজেলার ৩ সহস্রাধিক মৎস্য চাষীর।
মৎস্য চাষীরা জানান, আকস্মিক ১০/১১ ঘন্টার বিরতিহীন প্রবল বর্ষণের কারণে এ বন্যার সৃষ্টি হয় এবং মৎস্য চাষীরা মাছ সুরক্ষার পুর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ পাননি। এ কারণে মৎস্য চাষীদের এ বিপুল পরিমাণ মাছ বন্যার পানিতে ভেষে গেছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ক’টি ইউনিয়ন সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের তালিকা প্রনয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক মুল্য নির্ধারণ করে উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং অপর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ