দিনাজপুরে ১৩ টি উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি মেনেই শুরু হয়ে গেছে পূজার প্রস্তুতি। এর অংশ হিসেবে চলছে দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরি। প্রতিমা তৈরি শেষে করা হবে রং দেয়ার কাজ। দেবী দূর্গার প্রতিমা ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজার প্রস্তুতি।
দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দূর্গার এক একটি রূপ।মন্দির ও মন্ডপগুলোতে চলছে সাজ - সজ্জার ব্যাপক আয়োজন। ঠাকুর শিল্পীদের ব্যস্ততা দেখে বোঝা যায় হাতে আর বেশী সময় নাই শারদীয় দূর্গাপূজার। আর তাই শিল্পীর হাতের ছোয়ায় একটু একটু করে যেন জীবন্ত হয়ে উঠছেন দুর্গতনাশিনী দেবী দূর্গা।
দীর্ঘ ৬ মাস ধরে কাজ করে এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে প্রতিমা তৈরির কাজ। কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে রংয়ের প্রলেপ ও অঙ্গসজ্বার কাজ। মনের মাধুরি মিশিয়ে রং তুলির আঁচরে মা দূর্গাকে সাজাবে প্রতিমা শিল্পীরা। চলতি বছর দিনাজপুর জেলায় ১২০০টি পূজা উদযাপন হবে যা গত বছরের চেয়ে কয়েকটি বেশী।
তবে প্রতিমা তৈরি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ কারিগরদের। খানসামা উপজেলার টংগুয়া গ্রামের শ্রী- বাদল রায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, চকবেনারশীর বৈরাগীর বাজারে প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। বাঁশ, খড়, মাটি সহ সব উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাই পরিশ্রম আনুযায়ী মৃত শিল্পীরা কাজের নায্য মূল্য পাচ্ছে না।
ঐতিহ্য ধরে রাখতেই তারা এই পেশায় এখনো নিয়োজিত রয়েছেন। তবে নায্য পারিশ্রমিক না পেয়ে আনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। দিনাজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরুপ কুমার বকসির সাথে কথা বললে তিনি জানান, দিনাজপুরে জেলা শান্তির জেলা।
এখানে সকলের সহযোগিতায় দূর্গোৎসব পালিত হয়ে থাকে। উৎসব মূখর পরিবেশে দূর্গা পূজা পালনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান,
সারা দেশের ন্যায় খানসামা উপজেলার স্বাস্থ্য বিধি মেনেই হিন্দুধর্মাবলির দূর্গা উৎসব পালন করা হবে। তার সাথে সকল প্রকার নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। খানসামা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী ধীমান চন্দ্র দাস এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, খানসামা উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ১৩৭ টি দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এব্যাপারে আমাদের সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ