রফিক গাইবান্ধাঃ
বন্যার ধবল কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যায় পানিতে বিধস্ত হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার মানুষ। গত কয়েদিন ধরে টানা বৃষ্টির আর উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার পলাশবাড়ী,গোবিন্দগঞ্জ,ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০৪ টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েকদিনে ৪ টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে জেলার বন্যা পরিস্থিতি ব্যাপক অবনতি হয়েছে। বাধ ভেঙ্গে যাওয়াই এসব উপজেলার নানা জাতের ফসলী জমি ও রাস্তা ঘাট পানির নীচে তলে গেছে।
ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পর পর কয়েক বার বন্যা হওয়াই মানুষরা গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে বিপাকে। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবারের। শুক্রবার( ২ অক্টোবর) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড যায়, করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১শ ১৬ সে.মি, ব্রহ্মপুত্র নদে ৭ সে.মি.এবং ঘাঘট নদীর পানি ২৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে পানির তোড়ে পলাশবাড়ীর উপজেলার ঢোংরার বাধের পৃথক দুটি স্থানে প্রায় ১৫০শ মিটার অংশ ভেঙ্গে গেছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মতিন বাজার সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ধ্বসে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে নতুন নতুন গ্রাম তলিয়ে যাচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জ দিনাজপুর সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিশ আলী জানান, জেলায় এটা ৪ দফা বন্যা। ৩ উপজেলা ও ১ পৌরসভায় বন্যায় পানি প্রবেশ করেছে। ২০ ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার ৫ শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।পানি বন্ধী মানুষদের জন্য ৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের জন্য ৫৫ মে;টি চাল,নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ৮ শ শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ