মো. সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ
জীবনের অন্তিম মুহুর্তে এসে শারীরিক শক্তি হারিয়ে আয় উপার্জন না পাড়ায় অনাহারে অর্ধহারে দু’চোখের কেবলই অন্ধকার দেখছেন পার্বতীপুর বয়বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবান। ১৯৭১ সালে তিনি যখন ২৩ বছরের টগবগে তরুণ সেই সময় তিনি জীবনের মায়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। চোখ মুখে ছিলো সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
দেশ স্বাধীন হলে দু’বেলা জোটবে মুখের আহার, জুটবে নিরাপদ বাস আবাসস্থল। জন্মগতভাবে তার পৈতৃক নিবাস পার্বতীপুর শহরের পুরাতন বাজারে। পিতা সুলতান আহম্মেদের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের সন্তানের মধ্যে তিনি হলেন দ্বিতীয় সন্তান। বর্তমানে তার বাবা মা কেউই বেঁচে নেই। পৈতৃক সূত্রে বাসাবাড়ী করার জন্য জমি এক চিলতে জমিও পাননি তিনি।
১৯৯৬ সাল থেকে অনেকটা বাধ্য হয়ে তিনি পার্বতীপুর শহরের বদ্ধভূমি এলাকায় রেলের জমিতে ছোট টিনের একটা ঝুপড়ি ঘর তুলে স্ত্রী ফজিলা খাতুনকে নিয়ে কোনো রকমে জীবন যাপন করছেন এ নিঃসন্তান এ দম্পতি। জীবনের শেষ বেলায় দাঁড়িয়ে তার শেষ ইচ্ছা এক খন্ড জমিতেই নিজের একটি বাসা বাড়ি যেখানে বাকী জীবন তিনি নির্বিঘে্ন কাটাতে পারেন।
দারিদ্র জর্জরিত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ্য। তিনি বস্তির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে রোগ বালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে জয় হতে চান মুক্তিযোদ্ধা সোবান। তার এফএফনং- ৪০৭৯, মুক্তিবার্তা নং- ০৩০৮০৮০২২২, গেজেট নং- ২৮৮৮। কিন্তু ভাতা হিসেবে পাওয়া অর্থ স্বামী-স্ত্রী দু’জনের চিকিৎসা ও খাওয়া পরার খরচ যোগাতে শেষ হয়ে যায়। স্থায়ী একটা বাসা বাড়ী তৈরীর চিন্তা তার কাছে দুঃস্বপ্ন মাত্র।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার অনেক গরীব মানুষকে জমি দিচ্ছেন পাঁকা বাড়ী করে দিচ্ছেন। স্থানীয় অনেক দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধির কারণে অনেক ভিটেমাটিহীন নাগরিক এ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমি একজন সহায় সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রধান মন্ত্রীর আকুল আবেদন একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার শেষ ইচ্ছাটা যেন তিনি পূরন করেন।
নিশ্চয় আল্লাহ তালা দীর্ঘায়ু দান ও পর জীবনে উত্তম পুরস্কারে সম্মানিত করবেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহনাজ মিথুন মুন্নির সাথে আজ শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে কথা হলে জানান তার নাম ঠিকানা আমাকে দেন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
0 মন্তব্যসমূহ