ঘানি টানার গরু পেলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ- ৩০ বছরের কষ্টের অবশান

জাহাঙ্গীর রেজা, স্টাফ রিপোর্টারঃ 

সমাজের কিছু মানুষের ছোট কোন কাজের মাধ্যমে বড় কিছু সমাধান আসে যা সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে তেমনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নে বৃদ্ধের ঘানি টানার বিভিন্ন অন-লাইন ও পিন্ট পত্রিকার নিউজ প্রকাশের বদৌলতে ৩০ বছরের কষ্টের অবশান হল আজ।

যানা যায়, ডিমলা উপজেলার ৭নং খালিশা চাপানি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের মৃত মাহমুদার ইসলামের ছেলে সইমুদ্দিন ইসলাম (৭০) দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গরু না থাকায় ৫৫ বছরের বৃদ্ধা স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এক মেয়ে ও এতিম নাতনি কে নিয়ে কোন মতে সংসার চালাচ্ছেন।

বিষয়টি যুবক মিশুক আহম্মেদ বর্ষার নজরে আসলে গত ১১ অক্টোবর মোবাইলে বৃদ্ধের ঘানি টানার নিউজ ফেসবুকে নিজের টাইম লাইনে দিলে বিষয়টি সবার নজরে আসে এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় অংকুর ইন্টারন্যাশনাল ও ডু সামথিং ফাউন্ডেশন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৪ অক্টোবর দুপুরের বৃদ্ধের পরিবারের হাতে ঘানি টানার জন্য ৫৩ হাজার টাকা দামের একটি গরু তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম, খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, অংকুর ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি আব্দুর রহিম,ব্যবসায়ী এটি এম আলমগীর কবির, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ কর্মী সহ বিভিন্ন টেলিভিশনের সংবাদ কর্মীরা। 

এ সময় ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন- যুবকদের এমন কাজে আমি সত্যি আনন্দিত। তিনি আরো বলেন যে কাজ সমাজের অন্যান্য ব্যক্তি এমনকি আমাদের তদারকিতে হওয়া উচিত তা আজ যুবকরা করে দেখিয়েছে। পরে ওসি সিরাজুল ইসলাম সামাজিক সংগঠন অংকুর ও ডু সামথিং ফাউন্ডেশন কে ধন্যবাদ জানান। 

খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি সত্যি বেদনাদায়ক,আগেই এটি আমার আমলে নেওয়া উচিত ছিল। আজ যুবকদের এমন কাজে আমিও সত্যি আনন্দিত। বৃদ্ধ সইমুদ্দিন ইসলাম জানান- আমি দোয়া করি সবার জন্য আমার পাশে এসে দারানোর জন্য। পরে ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ ও খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান বৃদ্ধ সইমুদ্দিন ইসলামের হাতে গরু টি তুলে দেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ