চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির সাক্ষর জাল করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবী করে দিনাজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় সোহাগ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাদারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী করা হয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রবিউল ইসলাম সোহাগ।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাক্ষর জাল করে দিনাজপুর জেলা কমিটিতে শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মরহুম সাব্বিরুল আহসান এর স্থলে নিজেকে উক্ত পদে নিযুক্ত করা হয়ছে বলে দাবী করেন, সোহাগ গত ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সম্মুখে ওবায়দুল কাদের সাক্ষরিত একটি সীল যুক্ত কাগজ প্রদর্শন করেন।
মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী সাথে কথা বললে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাক্ষরটির বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী এ্যাড মোস্তাফিজুর ফিজার এমপি ওবায়দুল কাদের এর সাথে দেখা করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেছেন,
"আমি জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ বা মতামত ছাড়া কাউকে অন্তর্ভুক্ত করার গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড করতে পারিনা এবং এধরনের সাক্ষরিত কাগজ প্রদান করিনি। যদি সোহাগ এধরণের প্রদর্শন করে তবে ওই কাগজ সম্পূর্ণ জাল বলে গন্য হবে। তিনি আরো বলেন, রবিউল ইসলাম সোহাগ নামে আমি কাউকে চিনিনা"। এধরনের ভুয়া সীল সাক্ষর যুক্ত কাগজ প্রদর্শন হয়ে থাকলে তিনি থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, এধরনে নির্দেশ পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপির পরামর্শ ক্রমে গতকাল শুক্রবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় রবিউল সোহাগকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, মামলাটি গুরুত্ব বিবেচনা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২২/২৩/২৪ ও ২৯ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক ইন্টিলিজেন্ট মাহবুবুর রহমানকে প্রদান করা হয়েছে।
মামলার গুরুত্ব ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে সাক্ষর ও সিল ভুয়া সনাক্ত হলে আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে জাল সাক্ষর ও সীল দিয়ে নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা প্রচার করে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় দিনাজপুর সদর উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ