চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুর ব্যুরোঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম কে রাতের আধারে ফ্লিম্মি কায়দায় হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এই দুই যুবলীগ নেতা হলো, উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২) এবং অপরজন ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার সাগরপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে উপজেলা যুবলীগ নেতা আশাদুল হক (৩২) ।
আজ শুক্রবার ভোরে কশিগাড়ীর নিজ বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। অপর দিকে একই সময় এ ঘটনার অন্যতম আরেক আসামী আশাদুলকে পাশ্ববর্তী হিলি (হাকিমপুর) সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর থানার যৌথ দল।
থানা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরের নামে পৌর মেয়রকে হত্যা চেষ্টা মামলা সহ জমিজমা দখল ও চাঁদাবাজির মোট তিনটি মামলা রয়েছে। অপর দিকে আশাদুলের নামে পৌর মেয়রকে হত্যা চেষ্টা ও মাদক সহ মোট দুটি মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আমরা ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে শনাক্ত করেছি এবং ভোর রাতে হামিকপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকারের নেতৃত্বে হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে এ ঘটনার অন্যতম আসামী আশাদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন অপর আসামীকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামী আশাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ই মে প্রকাশ্যে দলবল সহ দেশী ধারালো অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারী বরাদ্দের ত্রাণ বিতরণ কালে ঘোড়াঘাট পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলনকে হত্যার উদ্দেশ্য গুরুতর রক্তাত্ত করার ঘটনার মূল আসামী ছিল এই যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও আশাদুল।
এ ঘটনায় মেয়র বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গ্রেফতারের পরের দিনই তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃত আশাদুল ও জাহাঙ্গীরের নামে মাদক, হত্যা চেষ্টা, জমিজমা দখল, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কাজে জড়িত সংশ্লিষ্ট একাধিক মামলা রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ