চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুরঃ
পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান গেট করোনা ভাইরাসের কারণে তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ৪ মাস ধরে বন্ধ রাখার কারণে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আন্দোলন পরিচালনা কমিটির প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান গেট করোনা ভাইরাসের কারণে তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ৪ মাস ধরে বন্ধ রাখার কারণে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ এর নেতৃত্বে শতাধিক শ্রমিক গেট খুলে দেওয়ার দাবিতে তাদের অফিস চত্তরে এক প্রতিবাদ সভা করেন।
প্রতিবাদ সভায় আন্দোলন পরিচালন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ২৬ শে মার্চ থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেট করোনা ভাইরাস এর কারণে বন্ধ রাখা হয়। ভিতরে যে সব শ্রমিক রয়েছে তারা ৪ মাস যাবৎ বাহিরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাহিরে যারা রয়েছে তাদেরকে কাজে যোগদান করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন করোনা ভাইরাস এর কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল শ্রমিককে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে শ্রমিকদের কোন সমস্য না হয়। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাহিরে অবস্থানরত কোন শ্রমিককে কাজে যোগদান করতে দিচ্ছে না। এতে শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। আগামী পহেলা অক্টোবরের মধ্যে প্রধান গেট খুলে দেওয়া না হলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াজেদ আলী সরদার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। যেহেতু দেশে করোনা ভাইরাস বিস্তার ঘটেছে সেহেতু স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমরা কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই আমরা প্রধান গেট খুলে দিব।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক যারা বাহিরে রয়েছেন তাদেরকে আমরা মাসিক বেতন সহ সবরকম সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছি। যারা অভিযোগ করে আন্দোলন করছে তাদের আন্দোলন সঠিক নয়। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ।
0 মন্তব্যসমূহ