মোঃ সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ
নীলফামারীতে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিলের যোগ হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যু ১৯ জনের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭৪ জন জীবিকার তাগিদে সচেতনতার হার নামতে শুরু করেছে নিচের দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া আজ বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ তথ্য বলছে সদর উপজেলায় ৪৯৫ জন আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
ডোমার উপজেলায় আক্রান্ত ৭৭ জন মৃত্যু ১। ডিমলা উপজেলায় আক্রান্ত ৯১ মৃত্যু নেই। জলঢাকা উপজেলাতে ১৪১ আক্রান্ত মৃত্যু ৫ জন। কিশোরগঞ্জ উপজেলাতে আক্রান্ত ৫০ মৃত্যু ০১ জন। সৈয়দপুর উপজেলাতে আক্রান্ত ১২০ জন মৃত্যু ৬ জনের। নীলফামারী সদর উপজেলায় আক্রান্তের ও মৃত্যু সংখ্যা অনেক বেশী হলেও মানুষের মাঝে নেই সচেতনতা।
গণপরিবহন চালু দোকান-পাট, হাট-বাজার গুলিতে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে মানুষের অবাধ চলাচলের কারণে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা হাট-বাজার গুলোতে মানুষের ঢল করোনা শুরুর সময়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশী ছিল না কিন্তু শহর জুড়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সচেতনতা কার্যক্রম ছিল ব্যাপক বর্তমানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও সে সব আর চোখে পড়ে না।
হাট-বাজার, দোকান-পাটে স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার পানি পর্যাপ্ত নেই থাকলেও ভেঙ্গে গেছে বেশ কিছু সাবান নেই, পানি নেই, এমনকি হাট-বাজার গুলোতে মাক্স ও ব্যবহার করছে না কেউ। করোনা ভাইরাস নামে একটি ভাইরাস আছে এ শব্দটি যেন হাট-বাজারে উপেক্ষিত, গরু-ছাগল ব্যবসায়ী আনারুল বলেন, সচেতনতা কী? হামাক কেনে করোনা ধরে, আরেক ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, হাটত ঘামি ঘুমি দেহা শেষ হয়া যায়ছে করোনাক ভয় করির টাইম আছে।
দারোয়ানী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিপদ রায় বলেন, করোনা শুরু দিকে আমি ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামের মানুষের পাশে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাক্স, সাবান, চাল, ডাল সহযোগিতা করেছি। করোনা সচেতনতার কথা বুঝিয়েছি, সর্বপরি করোনা প্রতিরোধে নিজে সচেতনতা না বুঝলে কিছু করার নেই। করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিচ্ছনতা ও মাক্স ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ভ্রামমান আদালত নিয়মিত পরিচালনা করলেও বাড়ছে না সচেতনতা।
এ বিষয়ে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, দেশ থেকে সম্পূর্ণ রূপে করোনা বিদায় না নেওয়া পযর্ন্ত আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে মানুষ কতদিন আর ঘরে বন্দি হয়ে থাকবে, জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটছে একস্থান থেকে আর একস্থান এ কারণে হাট-বাজার গুলোতে সচেতনতা এখন আরো বেশী বৃদ্ধি করতে হবে, বাড়াতে হবে সামাজিক দুরত্ব।
জেলায় করোনা আক্রান্ত ৯৭৪ জন হলেও আইসোলেশন থেকে ছাড় প্রাপ্ত হয়েছে ৮৯৬ জন মৃত্যু বরণ করেন ১৯ জন সন্দেহ ভাজন রয়েছে ৯ জন রোগী। এ পর্যন্ত নীলফামারী জেলায় ৬ হাজার ৯৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ