আঃ মতিন সরকার, গাইবান্ধাঃ
অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে মাটি করায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ঘোড়ামারা গ্রামের ৪০ টি পরিবারের বাড়ী-ঘর ভাঙ্গনে কবলে হুমকীর মুখে পরেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫টি বাড়ী ভেঙ্গে পরে। এছাড়াও পাড় ভেঙ্গে পড়ে গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখা ৭টি গরুর পানিতে ডুবে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ১০ নং ঘোড়ামারা গ্রামের ত্রানের একটি পুকুরে ৪ পাশের্^ ৫২ বছর ধরে ভূমিহীন ও নদী ভাঙনের শিকার ৪০ টি পরিবার বসবাস করে আসছিল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিক তার লোকজন দিয়ে পুকুর থেকে ভেকু মেশিনের সাহায্যে অপরিকল্পিত ভাবে প্রায় ২০ ফুট গভীর করে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে। এতে করে পুকুর পাড়ের বাড়ীঘর ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে।
গত মঙ্গলবার ভোর রাতে মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র বাদশা মিয়ার একটি গোয়াল ঘর পুকুরে ভেঙ্গে পড়ায় তার ৭ গরু ডুবে মারা যায়। যার মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। বাদশা মিয়ার অভিযোগ সরকারী নির্দেশনা না মেনে অবেধভাবে পুকুর খনন করে।
খননের ফলে বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকার কথা জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানালেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। প্রশাসনকে অবহিত করায় চেয়াম্যান তার লোকজন দিয়ে পুকুর পারে বসবাসকারীদের নানা ভাবে হয়রানি ও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে।
এ ব্যাপারে কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই এলাকার মাটি সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙ্গে যায়। তাই গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে কারণে গোয়াল ঘরটি পুকুরে ভেঙ্গে পরেছে। তিনি জানান, পুকুর খননে তার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, মামলায় জিতলেও পুকুর গুলি এখন ত্রাণ মন্ত্রণালয় বুঝে পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী যারা প্রতিবেশী এবং পুকুর পারে বসবাস করছে তারাই এই পুকুরের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করার কথা। অন্যকেই এই পুকুর বন্দোবস্থ দেয়ার এখতিয়ার নেই
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, পুকুরে গোয়াল ঘর ভেঙ্গে পরে ৭ টি গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। পুকুর থেকে মাটি উত্তোলন করা সহ যাবতীয় বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ