হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা’র দিক নির্দেশনায় , সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার এবং কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে জবাই করে হত্যার মুল দুই আসামীসহ ৯ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বি-সার্কেল তাপস সরকার এর তত্ত্বাবধানে প্রেস ব্রিফিং করেন কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি জানান, সাহাদাত বাড়ীতে ফেরত না আসায় তার মা সাহিদা বেগম তার মোবাইল ফোনে ফোন দিলে সাহাদাতের ফোন বন্ধ পায়।
এমতাবস্থায় তার পরিবারের লোকজন অনেক খোজা-খুজি করা অবস্থায় আশে পাশের লোকজনের নিকট জানিতে পারেন যে সাহাদাতকে তার অটোবাইক সহ ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় ভুল্ল্যারহাট হইতে শামীম ও সুজন সহ আরো অজ্ঞাত ৩/৪ জন অটোবাইক সুপারি কেনার কথা বলে নিয়ে যায়।
এমন তথ্য পেয়ে ২২ সেপ্টেম্বর সাহাদাতের মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৮। মামলার পর সল্প সময়ের মধ্যে বাড়ি থেকে আটক করা হয় সুজন নামের এক যুবককে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকারের চৌকসপূর্ন জিজ্ঞাসাবাদে এবং কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে আটক সুজনের কাছ থেকে বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য।
সুজনের দেয়া তথ্যমতে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ সাহাদাতের ব্যাটারী চালিত অটোবাইকসহ শামীম কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আসামীর দেয়া তথ্যমতে ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের গুটির গোড় গ্রামের নেপোনিয়ার দোলার আমন ধান ক্ষেত থেকে সাহাদাতের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।
সাহাদাতকে কেন তারা খুন করে লাশ গুম করার চেষ্টা করেছে তা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারকৃত আসামী শামীম ও সুজন হত্যা কান্ডের লোহমর্ষক ও চাঞ্চল্যকর বর্ণনাসহ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সল্প সময়ে প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ এবং সাফল্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগন।
0 মন্তব্যসমূহ